জলপাইগুড়ি, 24 সেপ্টেম্বর: বাড়িতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দু'জনের ৷ রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের 11 নম্বর ওয়ার্ডের আদরপাড়ায় ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও ছেলের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত যুবক খুচরো দোকান ব্যবসায়ী ছিলেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিদ্যুৎ দফতর ও কোতোয়ালি থানায় পুলিশ ৷ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যেই দেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৷ মৃতা মহিলার নাম ননীবালা দাশ (60) এবং তাঁর ছেলে টিঙ্কু দাশ (40) ৷
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বাড়িটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এরপর বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানানো হয় ৷ রাতেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে বাড়ির বিদ্যুৎতের লাইন ঠিক করে চলে যান ৷ এরপরে ভোর হতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ এদিন রাতে প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছিল ৷ কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানিয়েছেন দু'জনের মৃত্যু হয়েছে । বিদ্যুতের তার ঠিক করার পরের রাতে কীভাবে দু'জনের মৃত্যু হল, তার তদন্ত চলছে ৷
প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে ছুটে আসেন ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুরো বাড়িটিই শর্টসার্কিট হয়ে গিয়েছিল ৷ প্রতিবেশী পরিতোষ সরকার বলেন, "যাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন, তিনি আমায় ডাকলেন ৷ চিৎকার শুনে এসে দেখি এই ঘটনা ৷ বাড়ির গেট ধরা যাচ্ছিল না ৷ হাত দিলেও বিদ্যুতের শক লাগছিল ৷ কাল রাত 10 টা নাগাদ বাড়ির আলো জ্বলছিল না ৷ শুনেছি বাড়ি থেকে বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করা হয় ৷ রাতেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে লাইন ঠিক করে যায় ৷ এরপর সকালে এই দুর্ঘটনা ৷ বাড়িতে আরও তিনজন ছিলেন ৷ এরপর পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরে কর্মীরা আসেন ৷ বিদ্যুতের লাইন কেটে মৃতদের উদ্ধার করে ৷"
স্থানীয় বাসিন্দা তপেশ্বর সিং জানান, তিনিও প্রতিবেশী বাড়িটি থেকে চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন ৷ লাইন টেস্টার দিয়ে বাড়ির টিন ধরতেই টেস্টারে আলো জ্বলে ওঠে ৷ তিনি বলেন, "ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই ছেলে এবং মা পড়ে রয়েছে ৷ এই দু'জন ছাড়াও আরও তিন জন আছে ওই বাড়িতে ৷ পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷" পুলিশ, দমকল কর্মীরা এবং বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছছে ৷