জলপাইগুড়ি, 27 অগস্ট: পৌর এলাকায় ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু, ডেঙ্গি দমনে ময়নাগুড়ি পৌরসভার (Maynaguri Municipality) কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ ৷ তাই কাউন্সিলর নিজের টাকায় ফগিং মেশিন কিনে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া দিতে শুরু করলেন (Independent Councilor Bought Fogging Machine) ৷ অন্য ওয়ার্ডকেও নিজের কেনা ফগিং মেশিন ব্যবহার করতে দেবেন বলে জানালেন ময়নাগুড়ির নির্দল কাউন্সিলর তুহিন কান্তি চৌধুরী ৷
ময়নাগুড়ি পৌরসভার নির্দল কাউন্সিলর তুহিন এলাকায় লাল্টু দা নামেই পরিচিত ৷ শহরে সমাজসেবার কাজে তাঁর অবদান অনেক ৷ সমাজসেবার নিরিখেই ময়নাগুড়ির 12 নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ৷ উদ্যোগে খুশি শহরবাসীও ৷ তৃণমূল পরিচালিত ময়নাগুড়ি পৌরসভায় এখনও পর্যন্ত নাগরিক পরিষেবা ঠিক মতো দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷
তুহিন বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে এক বাসিন্দার ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ৷ ময়নাগুড়ি পৌরসভার কোন হেলদোল নেই। কার্যত অচলাবস্থা চলছে ৷ 12নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথা চিন্তা করেই আমি ডেঙ্গি দমনে ফগিং মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করেছি ৷ পৌরসভার উচিত ছিল এই কাজটা করার ৷ কিন্তু, আমি আমার ওয়ার্ডবাসীকে বঞ্চিত করতে পারি না ৷ তাই ওয়ার্ডের মানুষের কথা চিন্তা করেই এই মেশিন আনিয়েছি ৷’’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে নামল বিধাননগর পৌরনিগম
কলকাতা থেকে 29 হাজার টাকা খরচ করে এই ফগিং মেশিন আনিয়েছেন তুহিন কান্তি চৌধুরী ৷ ডেঙ্গি লার্ভাও পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি ৷ তাই ডেঙ্গির মশা দমনে আজ থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়েই কাজ শুরু করেছেন তিনি ৷ নিজের খরচেই মশা মারার তেল কিনে অপারেটর দিয়ে ফগিং করাচ্ছেন তিনি ৷ আরও জানিয়েছেন, অন্য ওয়ার্ডের কেউ যদি চায় তাহলে সেখানেও তিনি এই ফগিং মেশিন দেবেন মশার লার্ভা মারতে ৷ কারণ, তিনি সাধারণ মানুষের জন্যই এই মেশিনটা আনিয়েছেন ৷
এদিন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, ‘‘পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে বলে আমার জানা নেই ৷ তবে, আমাদের এখনও কোনও স্থায়ী সাফাই কর্মী নেই ৷ প্রতিটা ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে সাফাই করা হচ্ছে ৷