জলপাইগুড়ি, 10 মে : বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনা যুবকের ৷ সঙ্গে প্রেমের প্রমাণ হিসাবে তিনটি ছবি ৷ প্রেমিকা লক্ষ্মীকে বিয়ের দাবিতে এই ধরনায় বসেন সঞ্জিত দাস ৷ ধূপগুড়ি শহরের ঘটনায় হইচই জলপাইগুড়ি এমনকি রাজ্যেও ৷ এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টার প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনা দিয়ে, তাঁর বাড়ির লোককে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছেন সঞ্জিত (Man Staging Sit in Protest in Lover House to Marry Her in Dhupguri) ৷ সোমবার রাতেই দু’জনের বিয়ে দিয়েছে পরিবার ৷
জানা গিয়েছে, সঞ্জিত পেশায় সবজি বিক্রেতা ৷ তাঁর আয় কম হওয়ায় লক্ষ্মীর পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি ৷ বহুবার দু’তরফে আলোচনাও হয় এনিয়ে ৷ কিন্তু, লক্ষ্মীর পরিবার কিছুতেই মানতে চায়নি সঞ্জিতকে ৷ আর এরই মধ্যে লক্ষ্মীর বিয়ের ঠিক করে তাঁর বাবা-মা ৷ সে কথা জানতে পেরেই সোমবার প্রেমের প্রমাণ হিসাবে লক্ষ্মীর সঙ্গে নিজের চারটে ফটো নিয়ে ধরনায় বসেন সঞ্জিত দাস ৷ সকাল থেকে ধরনা শুরু করেন তিনি ৷ এমনকি মাঝে বেশ কয়েকবার বৃষ্টিও আসে ৷ কিন্তু, নিজের প্রতিজ্ঞা থেকে সরেননি ৷
প্রথমদিকে লক্ষ্মীর পরিবার সঞ্জিতের ধরনা খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ৷ কিন্তু, লোকজন জানাজানি হতেই লক্ষ্মীর বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে ৷ ধূপগুড়ি শহরে বিডিও অফিস লাগোয়া হওয়ায়, প্রেমিকার বাড়ির সামনে প্রেমিকের ধরনার খবর হাওয়ার মত ছড়িয়ে পড়ে ৷ এই পরিস্থিতিতে আত্মীয়স্বজন এবং বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে সঞ্জিতের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয় লক্ষ্মীর পরিবার ৷
আরও পড়ুন : New Bride Sitting on Dharna : সিঁদুর পরিয়ে বেপাত্তা, স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় নববধূ
সঞ্জিত জানিয়েছেন, বছর একত্রিশের লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় 6 বছরের ৷ কিন্তু, সঞ্জিতের আয় কম বলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেয়নি লক্ষ্মীর পরিবার ৷ তাই বাধ্য হয়ে ধরনায় বসেছিলেন তিনি ৷ আর ফলস্বরূপ, একেবারে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে গেলেন ‘লক্ষ্মী’কে ৷