জলপাইগুড়ি, 8 জুন: অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষারত রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৷ রোগীদের সঙ্গে একাধিক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পরিবারের ৷ স্বভাবতই পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ৷ সূত্রের দাবি, বুধবার 5 রোগীকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
স্থানীয় বামনপাড়া এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া বসাকের হিপ-জয়েন্টে ফ্র্যাকচার হয়েছে । কিন্তু হয়নি। ছেলে কৌশিক বসাক জানান, গত সপ্তাহে অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও তা হয়নি ৷ এবার তাঁর মায়ের অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক আছে ৷ তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য এদিন সকাল 9টা নাগাদ নিয়ে যাওয়া হয় ৷ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয় ৷ সারাদিন অপেক্ষার পর বিকেল চারটে নাগাদ চিকিৎসক এসে জানান, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় ৷ কারণ, দুপুর 2টোয় অ্যানাস্থেশিয়া করার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চলে গিয়েছেন ৷ তাই এদিন আর অস্ত্রোপচার হবে না ৷
অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীকে সংশ্লিষ্ট টেবিলে নিয়ে গিয়েও ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বুধবার স্বাভাবিকভাবে উত্তেজনা ছড়াল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৷ রোগীরা পরিবার-পরিজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷ তবে জানা গিয়েছে, এরপরই পাপিয়ার অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷
আরও পড়ুন: শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মমতা, দেখলেন খুঁটিনাটি
এই একই অভিযোগ জলপাইগুড়ি শহরতলির বাসিন্দা সীমা বিশ্বাসেরও । তিনি জানালেন, তাঁর বাবা রঞ্জিত বিশ্বাসের পায়ের হাঁটুতে সমস্যা থাকায় অস্ত্রোপচার করতে বলা হয় ৷ এদিকে সেই তারিখ দিয়েও ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেন, একদিন নয় বার বার এমন ঘটনা ঘটছে ৷ এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতেই টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ৷ এরপর তড়িঘড়ি রোগীদের অস্ত্রোপচারের বন্দোবস্ত করা হয় ৷ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডাঃ কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, রোগীদের অস্ত্রোপচার না-করানোর বিষয়টি জানার পরেই সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের অস্ত্রোপচার হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷