জলপাইগুড়ি, 25 ফেব্রুয়ারি : নিউ জলপাইগুড়ির স্থলবন্দরে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায় । গতকাল তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয় । আদালতের কাছে পুলিশ 10 দিনের রিমান্ড চেয়েছিল । কিন্তু 9 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক । গতকাল প্রসেনজিৎ পুলিশ ও দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি । আদালত চত্ত্বরে প্রসেনজিতের অনুগামীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ।
গতকাল প্রসেনজিৎ রায় বলেন, "সরকারি প্রজেক্টে একটা ঘটনা ঘটেছিল । যদিও ওই জায়গায় আমি তখন ছিলাম না । ঘটনাটি না হলে ভাল হত । তবে ঘটে গিয়েছে আর কী করা যাবে ! আমার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে । আর দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করে ভালই করেছে ।"
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাকেশ সিং
রবিবার মাঝরাতে অসম এবং অরুণাচল প্রদেশের শেষ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ টিম । জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পাঁচ জনের একটি বিশেষ টিম অসম-অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকার দেওচড়াই জেলার সাপেকোটা এলাকায় অভিযান চালায় । সেখান থেকে গ্রেফতার হন প্রসেনজিৎ রায় ।
পাঁচ দিন ধরে প্রথমে অসমের ডিব্রুগড়, তিনশুকিয়া, শিবসাগর ও দেওচড়াই জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছিল । সেখানে মোবাইলের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় প্রসেনজিৎকে । অসমের তিনসুকিয়া আদালতে আবেদন করে ট্রানজিট রিমান্ডের । মঙ্গলবার সকালে বিমানে করে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে । বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তাকে ফের ভক্তিনগর থানায় রাখা হয় ।