জলপাইগুড়়ি, 17 এপ্রিল : জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়কে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দিলেন থানার IC বিশ্বাশ্রয় সরকার ৷ কিন্তু সাংসদের দাবি, কোয়ারান্টাইন কী ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি IC ৷ রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির পর তাঁকে কোয়ারান্টাইন করার চেষ্টার অভিযোগও করেন তিনি ৷
গতরাতেই IC বিশ্বাশ্রয় সরকার ও সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জয়ন্তবাবুকে কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন ৷ জয়ন্তকুমার রায়ের অভিযোগ, IC তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছেন কোয়ারান্টাইনে না থাকলে রানিনগরের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ৷ শিলিগুড়ি থেকে গতরাতেই জলপাইগুড়ির বাড়িতে আসেন সাংসদ ৷ তারপরই তাঁর বাড়িতে পুলিশ ও চিকিৎসকরা গিয়ে বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ দেয় ৷ এতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি ৷
জয়ন্তবাবু বলেন, "আমাকে পুলিশ ও চিকিৎসকরা এসে বলেন, হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে ৷ এটাই নির্দেশ ৷ জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, আমি নাকি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি ৷ তাই আমাকে বাড়িতে থাকতেই হবে ৷ বাড়িতে না থাকলে রানিনগর কোয়ারান্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে IC হুমকি দিয়েছেন ৷" তবে, আজ বিকেল পর্যন্ত সাংসদের জলপাইগুড়ির বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের কোনও পোস্টার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে লাগানো হয়নি ৷
তিনি আরও বলেন, "আমাকে ঘরবন্দী করে রাখার জন্য পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার । আমার জলপাইগুড়ি বাড়ির চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । আমি বাড়ির বাইরে পা দিতে পারছি না । আমাকে পুলিশ বারণ করছে । আমি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লোকসভার স্পিকারকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি । আমাকে বলা হয়েছে, আমার শিলিগুড়ির ফ্ল্যাটের কাছাকাছি একজনের কোরোনা হয়েছে ৷ তাই আমাকেও কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে ।" পুলিশ সুপারকে ফোন করেও কোনও উত্তর মেলেনি বলে জানান জয়ন্তকুমার রায় ৷