ধূপগুড়ি, 26 সেপ্টেম্বর: আবার মত পরিবর্তন। তাই সমস্যা যে তিমিরে ছিল রয়েছে সেই তিমিরেই। সুতরাং. এখনও নিশ্চিত নয় কবে হবে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আলোচনায় ছিল ডেপুটি স্পিকারকে বিধায়কের শপথের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে পথ পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যতদূর জানা গিয়েছে, চিঠির বিষয়ে অবশ্যই ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ।
জানা গিয়েছে চিঠিতে রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যাতে রাজভবনে করা হয়। সূত্র মারফত খবর, তিনি লিখেছেন, ধূপগুড়ির বিধায়ক এসসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। ফলে তিনি যদি রাজভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করেন তাহলে সমাজের একটা বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছে বার্তা দেওয়া যাবে যে রাজভবন সকলের জন্য অবারিত দ্বার। সূত্রের খবর, এর পরিপ্রেক্ষিতে পালটা চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। সেখানে যেটা লেখা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য বিধানসভার ঐতিহ্য বা গরিমা কোনও অংশে কম নয়। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বিধায়কেরা বিধানসভায় এসে শপথ গ্রহণ করেছেন।
অন্যদিকে, এদিন সকালেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্তত তিনি রাজভবনে যেতে চান না। বিধানসভার অতীত ঐতিহ্য মেনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হোক বিধানসভাতেই। তিনি এও জানিয়ে দেন সংবিধানের 188 নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের অধিকার রয়েছে বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর। এক্ষেত্রে তিনি চান তা হোক বিধানসভাতেই। একইসঙ্গে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিনভর ডেপুটি স্পিকারের মাধ্যমে বিধায়কের শপথ সংক্রান্ত খবর সংবাদমাধ্যমে ঘুরেছে। কিন্তু এই সংক্রান্ত চিঠির কথা বিধানসভার জানা নেই। যেহেতু তিনি আগেও নিজেই শপথ বাক্য পাঠের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাই অধ্যক্ষ চান বিধানসভায় এসেই নির্মল চন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: স্পিকারের বদলে দায়িত্ব ডেপুটিকে, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ নিয়ে নয়া সংঘাত রাজ্যপালের সঙ্গে !
বিশেষ করে ধূপগুড়ির বিধায়ক যেহেতু রাজ্য বিধানসভার সদস্য হবেন, তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হোক বিধানসভাতেই। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল যদি চান বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন। এক্ষেত্রে তাঁকে বিধানসভায় স্বাগত। প্রসঙ্গত এই দুই চিঠির টানাপোড়েনের মধ্যে এখন অনিশ্চিত, বিধায়কের শপথ শেষ পর্যন্ত হবে কোথায়! শুধু তাই নয়, শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কে তা নিয়ে দেখা গিয়েছে সংশয় ৷