জলপাইগুড়ি, 20 অক্টোবর: তিস্তা নদীর জলে ভেসে আসা বিস্ফোরক ফেটে আহত হলেন এক কৃষক । ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গোচিমারি তিস্তার চরে ।
জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন কৃষক দেবাশিস বৈদ্য (22)৷ সেই সময়ই বিস্ফোরক ফেটে তিনি জখম হন ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিয়ে যায় । জানা গিয়েছে, কৃষকের হাতের অবস্থা গুরুতর ।
গত চার অক্টোবর তিস্তা নদীতে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর যন্ত্রাংশ বাড়িতে এনে তাতে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোয় বিস্ফোরক ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল একজনের । আহত হন পাঁচজন । ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙা এলাকায় । এরপর ফের সেনার বিস্ফোরক ফেটে আহত হলেন একজন ।
সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে তিস্তা নদীতে সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প ভেসে গিয়েছিল । ভেসে যায় সেনা জওয়ান-সহ বহু যুদ্ধ সামগ্রী । কয়েক দিন থেকেই তিস্তা নদীতে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা তিস্তার জলে ভেসে আসা বিস্ফোরক উদ্ধার করে তা নিস্ক্রিয় করার কাজ করছেন । পুলিশ ও সেনার পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর চরে চাষাবাদ বা অন্য কোনও কারণে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: তিস্তার জলে বানভাসি জলপাইগুড়ি, জারি সতর্কতা
আহত দেবাশিস বৈদ্য জানান, "তিস্তার চরে জমিতে কাজ করতে গিয়ে সন্দেহের বশে একটি বস্তু হাতে তুলে নিতেই ফেটে গেল । স্থানীয়রাই আমায় উদ্ধার করে । এরপর ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।"
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. কল্যাণ খাঁ বলেন, আহত এক যুবকের চিকিৎসা চলছে । তিনি ভালো আছেন ।
উল্লেখ্য, চার অক্টোবর সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর সেনার বিস্ফোরক ভেসে যায় তিস্তার জলে ৷ সেই সময় ক্রান্তি চাপাডাঙার বাসিন্দা তবিবর রহমান-সহ কয়েকজন মিলে তিস্তা নদীতে কাঠ কুড়োতে যান । সে সময় তাঁরা তিস্তা নদীতে কয়েটা বাক্স পান । তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাতে আঘাত করলেই তা সশব্দে ফেটে যায় । ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইনুর আলম (7) ৷ আহত হয় লতিফা খাতুন, লাকু মহম্মদ (14), রুকসানা পারভিন, রমজান আলি (65) ও গুমের আলি (50)৷