জলপাইগুড়ি, 18 সেপ্টেম্বর: সোমবার জেলায় জেলায় শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো উদযাপনে ব্যস্ত সকলেই ৷ এই দিন দেবতার পুজো হবে অথচ তাঁর বাহনের পুজো হবে না, তা কী হয়! তাই ঐরাবতের পুজোতে মেতে উঠলেন জলপাইগুড়িবাসী ৷ গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোড়া এলিফেন্ট ক্যাম্প ও রামশাইতে কুনকি হাতিদের পুজো করা হয়েছে এদিন।
প্রিয় হিলারি, বর্ষণ, রামি, যুবরাজ, মাধুরী, জেনিদের স্নান করিয়ে সাজিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ এরপর পুরোহিত পুজো করেন বিশ্বকর্মার বাহনকে। আজ জেনি, মাধুরি, কিরনরাজদের জন্য ছিল আলাদা মেনু। এদিন রীতিমতো উৎসবের আমেজ নিল গরুমারা, ধূপঝোড়া, মেদলার হাতি পিলখানাগুলোতে। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে আজ তাদের ছুটির দিন ৷ এদিন বনদফতরের কোনও কাজ করবে না তারা ৷
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অধীনে ছোট বড় মিলিয়ে মোট 21টি কুনকি হাতি রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই ধূপঝোড়া, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। সকালে তাদের স্নান করানোর পর সারা শরীরে সাদা চকের আঁকিবুঁকি, কপালে চন্দনের ফোঁটা ও গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। অপরদিকে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় মহাভোজের আয়োজন।
বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে তৈরী করা হয়েছে বিশেষ মেনু। রোজকার খাওয়ারের পাশাপাশি মেনুতে রয়েছে চাল, ডাল, কলা ও বিভিন্ন ধরনের ফলের বাহার। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে বনকর্মীরা জানান, হাতিদের নিয়েই সারা বছর কাজ করতে হয়। আমরা মহাকাল অর্থাৎ বিশ্বকর্মার বাহন হিসাবে হাতি পুজো করে থাকি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মাকে পিছনে ফেলে গণেশ মূর্তি কিনতে ভক্তের ঢল কুমোরটুলিতে
চাষের জমিকে হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচাতে বৈদ্যুতিক তারের বেড়া ও জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করার কারণে হাতির মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয় ৷ এমনকী, চা বাগানে ব্লেড লাগানো তারের বেড়া দেওয়ায় হাতি মারাত্বক জখম হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জলপাইগুড়ি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের হাতি পিলখানাগুলিতে ছোট্ট আয়োজনের মধ্যেই তাদের মঙ্গলকামনায় মহাকাল তথা হাতি পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামশাইতে শিলাবতী, ফুুলমতিকে রাইনো ক্যাম্পের সামনে বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে পুজো করা হয়েছে।