জলপাইগুড়ি, 1 এপ্রিল: এবার ছুটির দিনও চলবে দুয়ারে সরকার শিবির ৷ কাজের দিন চা বাগানের শ্রমিকরা দুয়ারে সরকারের শিবিরে আসতে পারছেন না। তাই চা বাগানের শ্রমিকদের সুবিধার্থে রবিবারও দুয়ারে সরকার ক্য়াম্প করার কথা ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন ৷ পাশাপাশি দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ক্য়াম্পেরও ব্য়বস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি ৷
চা শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে রবিবার দিনও এবার থেকে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প করা হবে। পাশাপাশি দুর্গম এবং প্রত্যন্ত এলাকার নাগরিকদের জন্য মোবাইল ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষত চা শ্রমিকদের জন্যই 340টি ক্যাম্প করা হবে রবিবার। শনিবার এই কথাই ঘোষণা করলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা ৷ তিনি জানান, এবার দুয়ারের সরকারের ষষ্ট দফায় ক্যাম্প হচ্ছে। 1 থেকে 10 তারিখ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। আর জেলায় 11 থাকে 20 এপ্রিল সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে এই ক্য়াম্পের মাধ্য়মে।
জলপাইগুড়ি জেলায় মোট দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে 2230টি। প্রতিটি বুথে এলাকাতেই ক্যাম্প করা হবে। এর সঙ্গেই মোবাইল ক্যাম্পও করা হবে জঙ্গল এলাকায়। এমনকি স্যাডো জোনেও হবে ক্যাম্প। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার মালবাজার মহকুমায় রবিবার করেও এবার থেকে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প করা হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আসলে অন্যান্য দিনে চা শ্রমিকরা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আসতে পারবেন না। তাই ছুটির দিনে ক্যাম্পে যাতে চা শ্রমিকরা আসতে পারেন সে কারণোই চা শ্রমিকদের জন্য জেলায় বিশেষ করে ক্যাম্প করা হবে।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে 50 জন যাত্রীকে নিয়ে মেয়ো রোডে উলটে গেল মিনিবাস
চা শ্রমিকদের জন্য মোট 340টি ক্যাম্প হবে রবিবার। এর মধ্য়ে সার্ভিস ডেলিভারি ক্যাম্পও থাকবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে মোট 33টা সার্ভিস দেওয়া হবে। লোক শিল্পীরাও থাকবেন ক্যাম্পে যাতে করে তারা প্রচার করতে পারেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ক্যাম্পে ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার প্রয়োজন থাকে। সেখানে কলেজ পড়ুয়া ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লাগানো হচ্ছে ক্যাম্প পরিষেবার জন্য। টাকা দিয়ে যাতে কেউ সার্ভিস নেয় সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রত্যেক ক্যাম্পে তালা বন্ধ অবস্থায় অভিযোগ নেবার বক্স থাকবে। কোন নাগরিক যদি কোন অভিযোগ করেন বা কোন পরামর্শ দেন সেটাও আমরা খতিয়ে দেখব বলে জানান জেলাশাসক। জেলায় প্রথম দিন 317টি ক্যাম্পে 7900 জন মানুষ পরিষেবা নিতে এসেছেন বলে জেলাশাসকের দফতরের তরফে জানানো হয়। এদিন উপস্থিত ছিলে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) তেজস্বী রানা, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারীক মিতেন্দ্র ছেত্রী, সদর মহকুমা শাসক সুদীপ পাল।