জলপাইগুড়ি, 30 মে : ফের জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে কোভিড হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করল করোনা আক্রান্ত রোগী ৷ প্রশ্ন উঠেছে জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর পরিষেবা নিয়ে ৷
শুক্রবার সন্ধেয় এই হাসপাতাল থেকে এক মাঝ বয়সি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান । তিনি স্টেডিয়ামের পেছন দিকে দিয়ে শনিমন্দিরের এলাকায় স্টেডিয়ামের প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেন । কোভিড হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা ওই রোগীকে ধরে হাসপাতালে পৌছে দিয়ে আসেন। সেখান থেকে ফের পালিয়ে যান রোগী ৷ সাড়া স্টেডিয়াম জুড়ে দৌড়াতে থাকেন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি ।
আরও পড়ুন : মাথাভাঙায় তৃণমূলের উপপ্রধানের মাকে লক্ষ করে বোমা
গ্রিন জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যা গীতা থাপা পিপিই কিট পরে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার মূল গেট দিয়ে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকে করোনা আক্রান্ত রোগীকে বুঝিয়ে বের করে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান । তিনি বলেন, "আমাদের কাছে খবর আসে করোনা আক্রান্ত রোগী পালিয়ে গিয়েছেন, তাই আমি উদ্ধার করতে এসেছি ।" কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কাউকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
প্রায় রোজ গড়ে তিন থেকে চারজন করোনা রোগী এই হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন বা পালিয়ে যাচ্ছেন ৷ গ্রিন জলপাইগুড়ির সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, "কোভিড হাসপাতাল থেকে বার বার রোগী পালিয়ে যাচ্ছে । আমরা এই নিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করলাম । হাসপাতালের কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে । কারণ হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড, ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্ল, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে রোগী পালিয়ে যেতে পারে ? আমরা এর আগেও অভিযোগ করেছি কোভিড হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ৷ আমাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দফতর আমাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিল ।" তিনি আরও জানান, এখানে রোগীকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না, সঙ্গে জোটে মারধর, তাই নিরুপায় রোগী পালানোর চেষ্টা করেন ।
এদিকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী অভিযোগ করে বলেন, "আমরা একবার ধরে হাসপাতালে ঢুকিয়ে দিয়ে আসার পরে পালায় কী করে ? আমরা আইনশৃঙ্খলা দেখব, না কি বার বার করোনা রোগীকে ধরব ।" স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।