জলপাইগুড়ি, 27 জুলাই : মাত্র 42টি সিট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বলে কটাক্ষ করলেন সায়ন্তন বসু । আজ সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া মোড়ে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু । উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী-সহ জেলার অন্য বিজেপি নেতারা । গতকালের পর আজও তৃণমূলকে এক হাত নিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়েছেন ৷ আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক ৷ কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধি তাঁকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ৷ গতকাল দিল্লি যাওয়ার আগে পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে কমিশন গঠন করে ভারতে নজির গড়েছেন ৷ মনে করা যাচ্ছে, 24-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হবে বিরোধী দলগুলি ৷
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর দিল্লি পৌঁছানোর পরের দিন সকালে চায়ের আড্ডায় কী বললেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ?
রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের পরিণতি
আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে তো কোনও লাভ নেই ৷ তৃণমূল যে অত্যাচার করছে, তার জবাব হবে ৷ হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে ৷ আগেও বলেছি, আবারও বলেছি অর্ধেকের বেশি তৃণমূলের আধা নেতা আর দিন 15-র মধ্যে জেলে যাবেন ৷ যাঁরা মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে, খুন করেছে, কাউকে ছাড়া হবে না ৷ সব ক'টা জেলের মধ্যে ঢুকবে ৷ আমি আজকে আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে দিলাম ৷ কমিশন, কোর্টের রায় আলাদা করে উল্লেখ করব না ৷ কিন্তু গ্যারান্টি দিচ্ছি, তৃণমূলের অর্ধেক আধা নেতা গুন্ডা, মস্তান জেলে ঢুকবে ৷
আরও পড়ুন : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের বিজেপি যোগ নিয়ে সরব রাজ্য, হলফনামা হাইকোর্টে
মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী উত্তরণ প্রসঙ্গে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন না মঙ্গলগ্রহের চেয়ারম্যান হবেন তা ভবিষ্যৎ বলবে ৷ 42টা আসন নিয়ে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আমিও আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি, তাতে কোনও অসুবিধে নেই ৷
পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর কমিশন গঠন
তদন্ত কমিশনের কোনও মূল্য আছে নাকি, এর আগে অনেক কমিশন তিনি করেছেন ৷ 21 জুলাই, বিজন সেতু, কাশীপুর গণহত্যা ৷ কোনও কমিশনের রিপোর্ট দিনের আলো দেখেছে ? কিছু জনগণের পয়সার কিছু শ্রাদ্ধ হবে ৷ দু‘টো আরদালি, চারটে পিওন, দু‘টো টাইপরাইটার, ড্রাইভার, গাড়ি, দু'জন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির মাসমাইনে ৷ এটা করে রাজনীতি করবেন ৷ তবে জনগণের পয়সার শ্রাদ্ধ হবে ৷ এর কোনও মূল্য নেই ৷
তদন্ত কমিশন কি তাহলে অবৈধ ?
আর এটা রাজ্যের বিষয়ও নয় ৷ দু'জন বিচারপতি আসবেন, খাবেন, দাবেন, চলে যাবেন ৷ এ বিষয়ে পার্লামেন্ট যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে, এঁর কোনও ক্ষমতাই নেই করার ৷ লাফালাফি করছেন ৷ আমি যদি আজকে একটা সরকারি কাজ নিজে করতে যাই, আমি কি সরকারের লোক, করতে পারব ? যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের জুরিসডিকশনের মধ্যে পড়ে, সেটা ঘোষণা করলেই করা যায় নাকি ? এত সহজ ? আসলে আইন-কানুন, সংবিধান, নিয়ম জানে না ৷ তার জন্য লাফালাফি করছেন ৷ কিছুই হবে না ৷ এই কমিশন তো অবৈধ কমিশনই একপ্রকার ৷ এর মান্যতা নেই ৷ যদি আইনের ফাঁক দিয়ে কোনও কমিশন তৈরিও করেন, তার কোনও ক্ষমতাই থাকবে না তদন্ত করার ৷