জলপাইগুড়ি, 6 জানুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনায় বাংলাদেশের উগ্রপন্থী সংগঠন জড়িত বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ জলপাইগুড়িতে এসে তিনি বলেন, "সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে সংবিধানের অবমাননা করা হয়েছে । বাংলাদেশের উগ্রপন্থী সংগঠন জামাত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে । এর বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিৎ । 26 ক্ষমতায় এলে শাহজাহান শেখরা লুকিয়ে পালাবার পথ খুঁজে পাবে না ৷"
শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে সন্দেশখালিতে গিয়েছিল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফের জওয়ানরাও । শেখ শাহজাহানকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না-মেলায় তাঁর বাড়ির তালা ভাঙতে যান অধিকারিকরা ৷ সেসময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় ৷ প্রচুর লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি আধিকারিকদের ।
বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি থেকে শুরু করে সিআরপিএফের গাড়িও। সেগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । জনরোষের মুখে পড়ে অবশেষে ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভাঙা গাড়ি নিয়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন । এরপরেই আহত ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি ৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি ৷ সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন সুকান্ত মজুমদার ৷ এরপর শনিবার সন্দেশখালির ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের উগ্রবাদীরা জড়িত বলে অভিযোগ করলেন তিনি ৷
অন্যদিকে কোচবিহারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "রাজ্য সরকারকে বলুন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৷ হিম্মত আছে তো আমাদের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে দেখাক । পুলিশের কত দম দেখব ৷" তিনি আরও বলেন, "রাজ্যের সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে । গতকালের ঘটনা তার প্রমাণ ।" বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে জলপাইগুড়ি আসেন সুকান্ত মজুমদার । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, রাজ্যের বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট সম্ভব নয় ।
আরও পড়ুন: