ETV Bharat / state

Jalpaiguri Suicide Controversy: দম্পতি আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আগাম জামিন নাকচ

জলপাইগুড়ি দম্পতি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় মূল অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগম জামিন নাকচ করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ তবে এখনও অধরা অভিযুক্ত ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Jun 17, 2023, 2:14 PM IST

Updated : Jun 17, 2023, 2:34 PM IST

মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আগাম জামিন নাকচ

জলপাইগুড়ি, 17 জুন: দম্পতির আত্মহত্য়া মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতির আগাম জামিন নাকচ হল ৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে ৷ তরপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে আসরে নামে পুলিশ ৷ এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার, মামলার তদন্তকারী অফিসার নীতেশ লামা ৷ পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে, নয়া বস্তির বাড়িতে সৈকত কে না পাওয়া যাওয়ায় তার সম্ভাব্য থাকার ঠিকানাগুলিতে অভিযান চালানো হয় । যদিও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি।

পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃত দম্পতির আত্মীয় তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । এরপর কলকাতা হাইকোর্টের এডিজি কে জয়রামনকে এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেন । তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে ডিআইবি -র একজন ইনস্পেকটরকে তদন্তের ভার দিয়েছিলেন জয়রামন । সেই মামলারই রায়দান হয় শুক্রবার ৷

কে এই সৈকত চট্টোপাধ্যায় ?

জলপাইগুড়ির দম্পতি আত্মহত্যা ঘটনায় মৃতদের কাছ থেকে এক সুইসাইড নোট উদ্ধার হয় ৷ সেই নোটেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয় ৷ জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় । এলাকায় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি ৷ অভিযোগের পরেই প্রভাবশালী তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেনি ।

আরও পড়ুন: দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ! কাঠগড়ায় উপপৌরপ্রধান

এ প্রসঙ্গেই, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, "সত্যের জয় হল । উদ্ধত্য, দাদাগিরির পতন হল । এই রায়ে আদালতের উপর মানুষের আস্থা বিশ্বাস আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে । আমরা আশাবাদী ছিলাম বিচার ব্যবস্থার প্রতি । যারা সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যকে মেরেছেন তাদের কয়েকজন জেলের ভাত খাচ্ছেন । আর যিনি এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, সেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও যিনি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেছিলেন । তিনিও এবার জেলের ভাত খাবেন । বিচারব্যবস্থার কাছে সবাই এক। আগামিদিনে তিনি যতই লম্ফঝম্প করুক তাকে জেলের ভাত খেতে হবে । পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি তাকে। আমরা আবার আদালতের দ্বারস্থ হব ।"

ঠিক কী ঘটেছিল ?

গত 1 এপ্রিল পান্ডাপাড়ার দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে । অপর্ণা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন । তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার পাতার সুইসাইড নোট ৷ সেখানেই সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়, সন্দীপ ঘোষ, সোনালী বিশ্বাস ও মনোময় সরকারের নাম উল্লেখ ছিল ৷ মৃতের আত্মীয় শিখা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় ৷

মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আগাম জামিন নাকচ

জলপাইগুড়ি, 17 জুন: দম্পতির আত্মহত্য়া মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল যুব সভাপতির আগাম জামিন নাকচ হল ৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে ৷ তরপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে আসরে নামে পুলিশ ৷ এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার, মামলার তদন্তকারী অফিসার নীতেশ লামা ৷ পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে, নয়া বস্তির বাড়িতে সৈকত কে না পাওয়া যাওয়ায় তার সম্ভাব্য থাকার ঠিকানাগুলিতে অভিযান চালানো হয় । যদিও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি।

পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন মৃত দম্পতির আত্মীয় তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় । এরপর কলকাতা হাইকোর্টের এডিজি কে জয়রামনকে এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেন । তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে ডিআইবি -র একজন ইনস্পেকটরকে তদন্তের ভার দিয়েছিলেন জয়রামন । সেই মামলারই রায়দান হয় শুক্রবার ৷

কে এই সৈকত চট্টোপাধ্যায় ?

জলপাইগুড়ির দম্পতি আত্মহত্যা ঘটনায় মৃতদের কাছ থেকে এক সুইসাইড নোট উদ্ধার হয় ৷ সেই নোটেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয় ৷ জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় । এলাকায় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি ৷ অভিযোগের পরেই প্রভাবশালী তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেনি ।

আরও পড়ুন: দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ! কাঠগড়ায় উপপৌরপ্রধান

এ প্রসঙ্গেই, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, "সত্যের জয় হল । উদ্ধত্য, দাদাগিরির পতন হল । এই রায়ে আদালতের উপর মানুষের আস্থা বিশ্বাস আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে । আমরা আশাবাদী ছিলাম বিচার ব্যবস্থার প্রতি । যারা সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যকে মেরেছেন তাদের কয়েকজন জেলের ভাত খাচ্ছেন । আর যিনি এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, সেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও যিনি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেছিলেন । তিনিও এবার জেলের ভাত খাবেন । বিচারব্যবস্থার কাছে সবাই এক। আগামিদিনে তিনি যতই লম্ফঝম্প করুক তাকে জেলের ভাত খেতে হবে । পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি তাকে। আমরা আবার আদালতের দ্বারস্থ হব ।"

ঠিক কী ঘটেছিল ?

গত 1 এপ্রিল পান্ডাপাড়ার দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে । অপর্ণা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন । তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার পাতার সুইসাইড নোট ৷ সেখানেই সৈকত চট্টোপাধ্য়ায়, সন্দীপ ঘোষ, সোনালী বিশ্বাস ও মনোময় সরকারের নাম উল্লেখ ছিল ৷ মৃতের আত্মীয় শিখা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয় ৷

Last Updated : Jun 17, 2023, 2:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.