জলপাইগুড়ি, 16 জানুয়ারি: দেহ কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জামিন পেলেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস (Ankur Das Gets Bail) ৷ জামিনে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে গুরুতর অভিযোগ করলেন তিনি ৷ জানালেন, কোনও প্রভাবশালীর নির্দেশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ এমনকী পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের নাম এর সঙ্গে জড়াতে ৷ এদিন জামিনে মুক্তি পেয়ে এমনই অভিযোগ করেছেন অঙ্কুর দাস ৷ যদিও, পুলিশ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ৷
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের দেহ কাঁধে বয়ে (Body Carrying Case) বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী এবং ছেলে ৷ অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ ও ওয়ার্ড মাস্টার দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেনি ৷ এমনকি হাসপাতালের বাইকে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা 3 হাজার টাকা চেয়েছিল ৷ সেই টাকা দিতে না পারায়, লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের দেহ কাঁধ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস বিষয়টি দেখলে সাহায্য় করেন ৷
পরবর্তী সময়ে 10 জানুয়ারি অঙ্কুর দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা যায়, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে নাকি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এনিয়ে অঙ্কুর দাস প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁরা মৃত লক্ষ্মীরানি দেওয়ানের পরিবারের থেকে অতিরিক্ত টাকা চাইলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিল না কেন ? উলটে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল ? অঙ্কুর দাসের অভিযোগ, তাঁকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: দেহ কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের 3 নিরাপত্তারক্ষীকে শোকজ
তাঁর আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানিয়েছেন, এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা জেলা স্বাস্থ্য দফতর কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি ৷ অভিযোগ করেছে হাসপাতাল চত্বরে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংগঠন ৷ বরং তাদের হাসপাতাল চত্বরে এভাবে ব্যবসা করার কোনও অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন অঙ্কুর দাসের আইনজীবী ৷ এদিন তাঁকে আরও 5 দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ ৷ কিন্তু, সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৷