জলপাইগুড়ি, 26 অগস্ট : বিতর্কে এশিয়াডে সোনা জয়ী তথা অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman)-এর পরিবার ৷ স্বপ্না বর্মনের দুই দাদার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মারধর ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল । স্বপ্নার দাদার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দোকানের মালিক । অন্যদিকে, পাল্টা গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছে স্বপ্নার পরিবার ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এক গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ তারই প্রতিবাদে এবার রাজ্যসড়ক অবরোধ করলেন স্থানীয়রা ৷
অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণপদ বর্মনকে মারধর করে তাঁর দোকানঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল স্বপ্না বর্মনের দাদা অসিত বর্মনের বিরুদ্ধে । কৃষ্ণপদ বর্মনের স্ত্রী সুনিতা রায় বর্মন স্বপ্নার দাদা অসিত এবং পবিত্র বর্মনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তিনি লিখিতভাবে পবিত্র ও অসিতের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন ।
এদিকে স্বপ্নার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় এক রাজমিস্ত্রিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷ তার প্রতিবাদে স্বপ্নার বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা ৷ পাশাপাশি রাজ্য সড়কও অবরোধ করেন তাঁরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বপ্নার দাদার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ স্বপ্নার দাদাকে গ্রেফতার করেনি ৷ উল্টে গ্রামের নির্দোষ লোকজনকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : ভুল স্বীকার স্বপ্নার ! ভাইরাল ভিডিয়ো
স্থানীয় বাসিন্দা পিঙ্কি সেন, মমতা বর্মন, সুভাষ বর্মনরা অভিযোগ করেছেন, স্বপ্নার দাদার অত্যাচারে বাড়ির বাইরে কোনও বাচ্চা চলাফেরা করতে পারে না । স্বপ্নার দাদা সবসময় জোরে গাড়ি চালান ৷ গাড়ির গতি এত বেশি থাকে যে, যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ৷ প্রতিবাদ করলে উল্টে গালিগালাজ করেন স্বপ্নার দাদা অসিত ৷ অভিযোগ অসিত বর্মন সবসময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেরান ৷ অভিযোগ, গতকালও মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় কৃষ্ণপদ বর্মনকে মারধর করেন অসিত ৷ এমনকি কৃষ্ণপদ বর্মনের দোকানও ভাঙচুর করেন স্বপ্নার দাদা ৷ কিন্তু, অসিতকে গ্রেফতার না করে পুলিশ আক্রান্ত কৃষ্ণপদকেই গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে ৷ তারই প্রতিবাদে আজ রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা ৷
এই ঘটনায় পুলিশ এলাকায় গেলে, গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ৷ তাঁদের দাবি, স্বপ্নার দুই দাদাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ৷ সেই সঙ্গে কৃষ্ণপদ বর্মনকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে ৷ তা না হলে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা ৷