ETV Bharat / state

Allegation of cheating on TMC leader: প্রাথমিকে চাকরির নামে প্রতারণা! 4 লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়িতে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে 4 লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে (Allegation of cheating on TMC leader)৷ কোতয়ালী থানার পুলিশকে 10 তারিখের মধ্যে কেস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(CJM) ৷

Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job
Allegation of cheating on TMC leader
author img

By

Published : Jul 6, 2022, 4:48 PM IST

জলপাইগুড়ি, 6 জুলাই: প্রাইমারি স্কুলে(Primary teacher job) চাকরি দেওয়ার নামে 4 লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির এক প্রাক্তন সদস্য ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে । তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন চাকরিপ্রার্থী ।

চাকরি বা টাকা কোনওটাই না-পেয়ে আদালতেও অভিযোগ করেছেন প্রতারিত গৃহবধূ ৷ আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী থানার পুলিশকে 10 তারিখের মধ্যে কেস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(CJM) ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সাফাই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ চাকরির দেওয়ার নামে মোট 12 লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল । তিন ধাপে এই টাকা চাওয়া হয় । অভিযুক্ত শিক্ষক ক্রান্তি ব্লকের একটি স্কুলে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে ।

Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job
চাকরির দেওয়ার নামে মোট 12 লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল

জলপাইগুড়ি 15 নং ওয়ার্ডের গোমস্তপাড়ার এক গৃহবধূ 2016 সালে টেট পাশ করেন । বারংবার বিভিন্ন চেষ্টা করার পরেও চাকরি না-পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন গৃহবধূ । গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁদের পারিবারিক আত্মীয় তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ সে সময় চাকরির জন্য সোমনাথ বসু নামক ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেয় । সঞ্জীব ঘোষ তাঁদের বলে দিয়েছিলেন সোমনাথকে টাকা দিলে তিনি চাকরি পাইয়ে দেবেন । সেই মতো ঠিক হয় মোট 12 লক্ষ টাকা তিন ধাপে সোমনাথকে দিতে হবে । এরপর প্রাথমিকভাবে 4 লক্ষ টাকা দিতে বলা হয় সোমনাথ বসুকে ।

Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job
4 লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চেক দেওয়া হয় গৃহবধূকে

গৃহবধূর অভিযোগ, তিনি সোমনাথ বসুর অ্যাকাউন্টে আরটিজিএসের মাধ্যমে 8 জানুয়ারী 2021 সালে 4 লক্ষা টাকা জমা করেন । এর পর থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি না-পাওয়ায় গৃহবধূ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে । কিন্তু সোমনাথ ও সঞ্জীব টাকা ফেরত দেন না । 6 জুলাই চার লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চেক দেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে । এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের সোমনাথ বসুর অ্যাকাউন্ট থেকেই চেকটি দেওয়া হয় । চেক বাউন্স করে । দীর্ঘদিন কেটে গেলেও টাকা ফেরত না-পাওয়ায় অবশেষে 20 জুন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ ও সোমনাথ বসু নামে কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ । পরবর্তীতে 4 জুলাই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে একটি মামলা করেন । বিচারক কোতয়ালী থানার পুলিশকে আগামী 5 দিনের মধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন । এদিকে গৃহবধূর আইনজীবী সুব্রত সরকার বলেন, "পুলিশ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছিল না বলেই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি (Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job) ।"

চাকরির নামে 4 লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, "চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে । দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।"

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর

অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি । অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ বলেন, "আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই ৷ আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে । আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ থাকলে দেখাক । আমি সব রকম তদন্তের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত আছি । আমার আত্মীয় হলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করত না । আমি কাউকে টাকাও দিতে বলিনি । আমি কোন টাকাও নিইনি ।"

জলপাইগুড়ি, 6 জুলাই: প্রাইমারি স্কুলে(Primary teacher job) চাকরি দেওয়ার নামে 4 লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির এক প্রাক্তন সদস্য ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে । তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন চাকরিপ্রার্থী ।

চাকরি বা টাকা কোনওটাই না-পেয়ে আদালতেও অভিযোগ করেছেন প্রতারিত গৃহবধূ ৷ আদালতের নির্দেশে কোতয়ালী থানার পুলিশকে 10 তারিখের মধ্যে কেস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(CJM) ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সাফাই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ চাকরির দেওয়ার নামে মোট 12 লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল । তিন ধাপে এই টাকা চাওয়া হয় । অভিযুক্ত শিক্ষক ক্রান্তি ব্লকের একটি স্কুলে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে ।

Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job
চাকরির দেওয়ার নামে মোট 12 লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল

জলপাইগুড়ি 15 নং ওয়ার্ডের গোমস্তপাড়ার এক গৃহবধূ 2016 সালে টেট পাশ করেন । বারংবার বিভিন্ন চেষ্টা করার পরেও চাকরি না-পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন গৃহবধূ । গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁদের পারিবারিক আত্মীয় তথা তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ সে সময় চাকরির জন্য সোমনাথ বসু নামক ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেয় । সঞ্জীব ঘোষ তাঁদের বলে দিয়েছিলেন সোমনাথকে টাকা দিলে তিনি চাকরি পাইয়ে দেবেন । সেই মতো ঠিক হয় মোট 12 লক্ষ টাকা তিন ধাপে সোমনাথকে দিতে হবে । এরপর প্রাথমিকভাবে 4 লক্ষ টাকা দিতে বলা হয় সোমনাথ বসুকে ।

Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job
4 লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চেক দেওয়া হয় গৃহবধূকে

গৃহবধূর অভিযোগ, তিনি সোমনাথ বসুর অ্যাকাউন্টে আরটিজিএসের মাধ্যমে 8 জানুয়ারী 2021 সালে 4 লক্ষা টাকা জমা করেন । এর পর থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি না-পাওয়ায় গৃহবধূ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে । কিন্তু সোমনাথ ও সঞ্জীব টাকা ফেরত দেন না । 6 জুলাই চার লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চেক দেওয়া হয় ওই গৃহবধূকে । এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের সোমনাথ বসুর অ্যাকাউন্ট থেকেই চেকটি দেওয়া হয় । চেক বাউন্স করে । দীর্ঘদিন কেটে গেলেও টাকা ফেরত না-পাওয়ায় অবশেষে 20 জুন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ ও সোমনাথ বসু নামে কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ । পরবর্তীতে 4 জুলাই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে একটি মামলা করেন । বিচারক কোতয়ালী থানার পুলিশকে আগামী 5 দিনের মধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন । এদিকে গৃহবধূর আইনজীবী সুব্রত সরকার বলেন, "পুলিশ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছিল না বলেই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি (Allegation of cheating against TMC leader for Primary teacher job) ।"

চাকরির নামে 4 লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, "চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে । দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।"

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর

অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি । অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ বলেন, "আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই ৷ আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে । আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ থাকলে দেখাক । আমি সব রকম তদন্তের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত আছি । আমার আত্মীয় হলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করত না । আমি কাউকে টাকাও দিতে বলিনি । আমি কোন টাকাও নিইনি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.