জলপাইগুড়ি, 15 মার্চ: একিউট এনসেফালাইটিসে (Acute Encephalitis) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik examinee) । মৃত পরীক্ষার্থীর নাম রমা রায় । এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে জলপাইগুড়িতে । গত 5 মার্চ থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে ৷ মঙ্গলবার চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ডেঙ্গুয়াঝার গোয়াবাড়ির বাসিন্দা দিনমজুর গোপাল রায়ের মেয়ে রমা ৷ সে কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর স্কুলের ছাত্রী ছিল ৷ এমন আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কালিয়াগঞ্জ স্কুলেও । বেশ কিছুদিন থেকেই জ্বর, গা ব্যথা ছিল রমা রায়ের । তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় । কিন্তু কোনওভাবেই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে । সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে রমার রায়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে একিউট এনসেফালাইটিস সিন্ড্রোমের কথা বলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি একিউট কিডনি ইনজুরি, সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রমার বলে জানানো হয় ।
জলপাইগুড়ি কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ শর্মা বলেন, "আমাদের স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আচমকা মৃত্যুতে আমরা শোকাহত । এইভাবে ছাত্রীটি অকালে চলে যাবে এটা ভাবতেই পারছি না । এনসেফালাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাত্রটি মারা গিয়েছে । সেই কারণে স্কুলের প্রার্থনার লাইনে সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা বলেছি । আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে । এনিয়ে আতঙ্ক বাড়িয়ে লাভ নেই । একে প্রতিহত করতে হবে ।"
রমার বাবা গোপাল রায় জানান, তাঁর মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল । জ্বরের সঙ্গে শরীরে ব্যথা ছিল তার । তাঁরা মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য । দশ দিন ধরে জ্বর ছিল রমার । জ্বরের কারণে মাথাই তুলতে পারছিল না সে । রমার পিসি কবিতা রায় জানান, তার প্রচণ্ড গায়ে ব্যথা ও জ্বর ছিল ৷ গত ৫ তারিখ থেকে চিকিৎসা করানোর পর গতকাল রাতে রমা মারা যায় । তাঁদের বাড়ির চারপাশে শুকরের খাটাল রয়েছে ৷ এর ফলে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পরেছে । তাঁরা চায় ওই এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের থেকে ক্যাম্প বসানো হোক ।
আরও পড়ুন: বিসি রায় হাসাপাতালে আরও চার শিশুর মৃত্যু, পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন