ETV Bharat / state

65 কিমি বাইক চালিয়ে হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্ত

বাইকটাকে কোনওমতে রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়েই সটান ঢুকে পড়েন হাসপাতালে । তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, "আমি কোরোনায় আক্রান্ত । আমায় ভরতি নিন ।" হঠাৎ এক যুবকের এইরকম কথায় প্রথমে খানিকটা চমকে যান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা । তবে, পরে স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় ।

COVID Hospital
কোরোনা হাসপাতাল
author img

By

Published : May 31, 2020, 11:16 PM IST

Updated : Jun 2, 2020, 8:36 PM IST

জলপাইগুড়ি, 31 মে : হাসপাতালের সামনে হঠাৎ বাইক নিয়ে হাজির এক যুবক । বাইকটাকে কোনওমতে রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়েই সটান ঢুকে পড়েন হাসপাতালে । তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, "আমি কোরোনায় আক্রান্ত । আমায় ভরতি নিন ।" হঠাৎ এক যুবকের এইরকম কথায় প্রথমে খানিকটা চমকে যান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা । তবে, পরে স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় । ওই যুবক জানান, অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না আসায় নিজেই বাইক চালিয়ে 65 কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে চলে আসেন তিনি ।

ওই যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের প্যারা মেডিকেলের ছাত্র । নাগরাকাটায় বাড়ি । শুক্রবার নাগরাকাটারই স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে তিনি যান । সেইসময় ওখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল । প্যারামেডিকেলের ছাত্র হওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনেকেই তাঁকে চেনেন । ফলে তাঁকেও বলা হয়, লালা রসের নমুনা দিতে । তিনিও নমুনা দেন । শুক্রবারই তাঁর রিপোর্ট আসে । তা থেকেই নিজের কোরোনা আক্রান্তের কথা জানতে পারেন তিনি ।

নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানোর কথা জানানো হয় । তবে, সেই অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় আর অপেক্ষা করেননি ওই যুবক । নিজের বাইকে করেই কোরোনা চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন । তারপর সেখানকার কর্মীদের জানান, তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । তাই যেন তাঁকে ভরতি নেওয়া হয় ।

এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন উত্তরবঙ্গের OSD চিকিৎসক সুশান্ত রায় ?

প্রথমদিকে ওই যুবকের কথায় চমকে গিয়েছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওই যুবকের কোরোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে । উত্তরবঙ্গের OSD চিকিৎসক সুশান্ত রায় বলেন, "দুই নার্স ও ওই প্যারামেডিকেলের ছাত্রর রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । ওই তিন জনকেই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয় । কিন্তু ওই যুবক জানান, সে দেরি করতে চায় না । তারপরেই বাইক নিয়ে চলে যান । "

সুশান্ত রায়ের থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর যুবককে ভরতি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সেইসময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন, "বাইকটা রেখে দেবেন । ওই বাইকেই বাড়ি ফিরব আমি ।" রোগীর ইচ্ছামতো বাইকটিকে স্যানিটাইজ় করে রেখে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ।

এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ওই যুবক প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নাগরাকাটা থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছালেন । এ বিষয়ে নাগরাকাটা থানার OC সঞ্জু বর্মণ বলেন, "নাগরাকাটা থানা এলাকায় কোনও নাকা চেকিং নেই । লকডাউন শিথিল হওয়ার পর রাতে কোনও নাকা চেকিং হচ্ছে না ।"

জলপাইগুড়ি, 31 মে : হাসপাতালের সামনে হঠাৎ বাইক নিয়ে হাজির এক যুবক । বাইকটাকে কোনওমতে রেখেই কাউকে কিছু না জানিয়েই সটান ঢুকে পড়েন হাসপাতালে । তারপর স্বাস্থ্যকর্মীদের বলেন, "আমি কোরোনায় আক্রান্ত । আমায় ভরতি নিন ।" হঠাৎ এক যুবকের এইরকম কথায় প্রথমে খানিকটা চমকে যান হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা । তবে, পরে স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই যুবককে হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় । ওই যুবক জানান, অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না আসায় নিজেই বাইক চালিয়ে 65 কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে চলে আসেন তিনি ।

ওই যুবক উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের প্যারা মেডিকেলের ছাত্র । নাগরাকাটায় বাড়ি । শুক্রবার নাগরাকাটারই স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে তিনি যান । সেইসময় ওখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল । প্যারামেডিকেলের ছাত্র হওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অনেকেই তাঁকে চেনেন । ফলে তাঁকেও বলা হয়, লালা রসের নমুনা দিতে । তিনিও নমুনা দেন । শুক্রবারই তাঁর রিপোর্ট আসে । তা থেকেই নিজের কোরোনা আক্রান্তের কথা জানতে পারেন তিনি ।

নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানোর কথা জানানো হয় । তবে, সেই অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় আর অপেক্ষা করেননি ওই যুবক । নিজের বাইকে করেই কোরোনা চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন । তারপর সেখানকার কর্মীদের জানান, তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । তাই যেন তাঁকে ভরতি নেওয়া হয় ।

এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন উত্তরবঙ্গের OSD চিকিৎসক সুশান্ত রায় ?

প্রথমদিকে ওই যুবকের কথায় চমকে গিয়েছিলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওই যুবকের কোরোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে । উত্তরবঙ্গের OSD চিকিৎসক সুশান্ত রায় বলেন, "দুই নার্স ও ওই প্যারামেডিকেলের ছাত্রর রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । ওই তিন জনকেই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয় । কিন্তু ওই যুবক জানান, সে দেরি করতে চায় না । তারপরেই বাইক নিয়ে চলে যান । "

সুশান্ত রায়ের থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর যুবককে ভরতি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সেইসময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন, "বাইকটা রেখে দেবেন । ওই বাইকেই বাড়ি ফিরব আমি ।" রোগীর ইচ্ছামতো বাইকটিকে স্যানিটাইজ় করে রেখে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ।

এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ওই যুবক প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নাগরাকাটা থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছালেন । এ বিষয়ে নাগরাকাটা থানার OC সঞ্জু বর্মণ বলেন, "নাগরাকাটা থানা এলাকায় কোনও নাকা চেকিং নেই । লকডাউন শিথিল হওয়ার পর রাতে কোনও নাকা চেকিং হচ্ছে না ।"

Last Updated : Jun 2, 2020, 8:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.