জলপাইগুড়ি, 21 অগস্ট: গরুমারা জাতীয় উদ্যানে এক শৃঙ্গ গণ্ডারের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান সঙ্গীনি দখলের লড়াইয়ের কারণেই একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গণ্ডারের মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগে বন দফতরের আধিকারিকরা ৷
জানা গিয়েছে, সঙ্গীনি দখলের জন্য দুই পুরুষ গণ্ডারের মারপিটের ফলেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানে একটি গণ্ডার প্রাণ হারিয়েছে ৷ জাতীয় উদ্যানের সাউথ রেঞ্জের গরাতি বিটে বনকর্মীরা রুটিন টহলদারির সময় দেখতে পান, একটি জলাশয়ের ধারে পরে আছে গণ্ডারটি। এরপর খবর দেওয়া হয় অনান্য আধিকারিকদের ৷ তাঁরা এসে গণ্ডারের দেহটি জলাশয় থেকে ওপরে তোলে ৷ আসেন পশু চিকিৎসকরাও ৷ তাঁরা গণ্ডারটি পরীক্ষা করে মৃত বলে জানান ৷
সঙ্গীনি দখলের ফলেই গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ গন্ডারের খর্গ-সহ অন্যান্য অঙ্গ সব অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মৃত্যুর পেছনে চোরা শিকারিদের কোন যোগসাজশ নেই তাও এদিন পরিষ্কার জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। গন্ডারের শৃঙ্গটিও অক্ষত আছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও দিজ্জপ্রতিম সেন বলেন, "ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, গণ্ডারটির শরীরে আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে। তাই অনুমান, চোরাশিকারী নয়, সঙ্গীনি দখলের কারণেই গণ্ডারের মৃত্যু হয়েছে । গণ্ডারের শরীরে কোন বুলেটের চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যায়নি।
বন দফতর সূত্রে খবর, মৃত গণ্ডারটির শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত দেখতে পান বনকর্মীরা। এরপর টহলরত বনকর্মীরা রেঞ্জ অফিসে খবর দেন। গণ্ডারের মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন দফতরের কর্তারা। গণ্ডারটির দেহের বিভিন্ন অংশে ক্ষত চিহ্ন দেখে বনকর্তাদের অনুমান, কোনও পুরুষ গণ্ডারের সঙ্গে আক্রমণের ফলেই গণ্ডারটির মৃত্যু হয়েছে। গণ্ডারটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা পেরোচ্ছে একের পর এক গজরাজ, জাতীয় সড়কে থমকে সারি সারি গাড়ি
গত মাসেও জলঢাকা নদীতে উদ্ধার হয়েছিল গণ্ডার শাবক। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ এরই মাঝে ফের পূর্ণ বয়স্ক একটি পুরুষ গণ্ডারের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবে মনখারাপ বনকর্মীদের ৷