জলপাইগুড়ি, 18 অক্টোবর: জামিন পেলেন না তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় । বুধবার তাঁকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি আদালত । ফলে পুজোয় জেলেই কাটাতে হবে সৈকতকে । 2 দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে সৈকতকে এদিনই আদালতে তোলে পুলিশ । বিচারক তাঁকে আগামী 1 নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাহতের নির্দেশ দেন ৷
গত এপ্রিল মাসের 1 তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন । কিন্তু আত্মহত্যার আগে তাদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট ৪ জনের নাম উঠে আসে । এই মামলাতেই আত্মসমর্পণের পর গত 2 দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন সৈকত ৷
এই চার জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায় ৷ কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না-করায় শিখা চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ও সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন। গত 19 মে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই জোড়া আত্মহত্যাার ঘটনার ঘটনার তদন্তভার এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার কে জয়রমনকে দেন। এর পরেই একে মনোময় সরকার, সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ গত সোমবার আত্মসমর্পণ করেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ এর আগে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেও সুরাহা পাননি তৃণমূলের এই যুব নেতা ৷
আরও পড়ুন: মহুয়া নিয়ে তৃণমূলের নীরবতা, ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলতে চায় ঘাসফুল শিবির
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় দু'দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে এদিন তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে বের হয়ে আদালতে যাবার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই তৃণমূল নেতা জানান, তিনি খুব অসুস্থ । তাঁর বুকে সংক্রমণ এবং পেটে ব্যাথা হচ্ছে । পুলিশ মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে ৷