ETV Bharat / state

বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার সোনা-সুমন সহ আরও দুই - political violence in west bengal

বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার উপর গুলি চালনার ঘটনায় সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা ও তাঁর দেহরক্ষী-সহ আরও দু'জনকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ সোমবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হতে পারে ৷ এদিকে গ্রেফতারির আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন সোনা ৷ তাতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই জানা যাবে আসল দোষী কে ৷

সত্যরঞ্জন শীল
সত্যরঞ্জন শীল
author img

By

Published : May 17, 2021, 8:27 AM IST

বাশঁবেড়িয়া, 17 মে: তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা । তারপরই রবিবার মগরা থানায় সোনা শীল ও তাঁর সঙ্গী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা-সহ আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সোমবার বেলার দিকে তাঁদের কোর্টে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে । গুলি চালানোর সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছিল সোনা । সেই সঙ্গে সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের স্নেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন এইভাবে হেনস্থার স্বীকার হতে হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেও তাঁকেই এই রাজনীতির স্বীকার হতে হয়েছে । তাই নিয়ে তিনি স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন । তাতেও সোনা দাবি করেন, "আমি দোষী নই । প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করুক ৷"

গত 12 মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায় নাম উঠে আসে বাঁশবেড়িয়ার পৌরপ্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলের । ঘটনার পর সোনা শীলের দু'টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অদিত্য নিয়োগীর সমর্থকরা । এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সোনা । রবিবার সন্ধ্যার পর চুঁচুড়া থানার পুলিশ সোনা ও তাঁর দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে ।

সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে সোনা বলেন, "বহু কষ্ট-বেদনা নিয়ে আপনাদের বলছি । না হলে আপনারাও আমাকে অবিশ্বাস করবেন । যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি, ভালবাসি, তাকে আমার গোপন কথাও বলেছি, সেই মানুষটা আমাকে ভুল বুঝবে আমি ভাবতে পারিনি । সপ্তগ্রামে ভোট হয়েছে ৷ আমি কী করেছি আর না করেছি সবই জানে । কিন্তু গুলি চালানোর ঘটনার পর আমার ঘরবাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করেছে । টাকা পয়সা, সোনা গয়না লুট করে চলে গিয়েছে । আমার অপরাধটা কী ? আমি জেনেছি আদিত্য নিয়োগীকে কারা গুলি করেছে । দু-একদিনের মধ্যে সকলেই জেনে যাবেন । আমি যদি সত্যি কোনও অপরাধ করে থাকি তাহলে মাননীয়া দিদিকে (মুখ্যমন্ত্রী) বলব, দিদি আপনি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন । যদি সত্যি কোনও অপরাধ থাকে, আমি যদি দলবিরোধী কাজ করে থাকি, আপনি যা শাস্তি দেবেন আমি মাথা পেতে নেব । সে শাস্তি যদি মৃত্যুও হয় তাই মেনে নেব ।একটু তদন্ত করুন ।" সোনা আগেই বলেছিলেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন । সেই মতো তিনি রবিবার আত্মসমর্পন করেন । তিনি ওই ভিডিয়োতে বারবার বলেন, "আমি কোনও অপরাধ করিনি ৷"

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভিডিয়ো পোস্ট করে বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল

তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সোনা শীলকে যে দোষারোপ দেওয়া হচ্ছে । এর পিছনে কারা আছে । সোনা শীল কি দোষী, না এর পিছনে কোনও রাজনীতি চলছে ? এসব প্রশ্নই উস্কে দিলেন সোনা ৷ তবে নির্বাচনের আগে সপ্তগ্রাম বিধায়কের ছায়াসঙ্গী ছিলেন এই সোনা । তিনিই হঠাৎ তৃণমূলের চক্ষুশূল হলেনই বা কেন সেটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে । তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । এই গুলি চালনার ঘটনায় কারা জড়িত সেটা পরিষ্কার হলেই তা সামনে আসবে ।

আরও পড়ুন: হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে মদ খেয়ে ডিউটি করার অভিযোগ, বিক্ষোভ যুব তৃণমূলের

বাশঁবেড়িয়া, 17 মে: তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা । তারপরই রবিবার মগরা থানায় সোনা শীল ও তাঁর সঙ্গী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোলা-সহ আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সোমবার বেলার দিকে তাঁদের কোর্টে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে । গুলি চালানোর সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছিল সোনা । সেই সঙ্গে সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের স্নেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন এইভাবে হেনস্থার স্বীকার হতে হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেও তাঁকেই এই রাজনীতির স্বীকার হতে হয়েছে । তাই নিয়ে তিনি স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন । তাতেও সোনা দাবি করেন, "আমি দোষী নই । প্রয়োজনে পুলিশ তদন্ত করুক ৷"

গত 12 মে বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায় নাম উঠে আসে বাঁশবেড়িয়ার পৌরপ্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনা শীলের । ঘটনার পর সোনা শীলের দু'টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় অদিত্য নিয়োগীর সমর্থকরা । এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সোনা । রবিবার সন্ধ্যার পর চুঁচুড়া থানার পুলিশ সোনা ও তাঁর দেহরক্ষী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও দু'জনকে গ্রেফতার করে ।

সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে সোনা বলেন, "বহু কষ্ট-বেদনা নিয়ে আপনাদের বলছি । না হলে আপনারাও আমাকে অবিশ্বাস করবেন । যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করি, ভালবাসি, তাকে আমার গোপন কথাও বলেছি, সেই মানুষটা আমাকে ভুল বুঝবে আমি ভাবতে পারিনি । সপ্তগ্রামে ভোট হয়েছে ৷ আমি কী করেছি আর না করেছি সবই জানে । কিন্তু গুলি চালানোর ঘটনার পর আমার ঘরবাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করেছে । টাকা পয়সা, সোনা গয়না লুট করে চলে গিয়েছে । আমার অপরাধটা কী ? আমি জেনেছি আদিত্য নিয়োগীকে কারা গুলি করেছে । দু-একদিনের মধ্যে সকলেই জেনে যাবেন । আমি যদি সত্যি কোনও অপরাধ করে থাকি তাহলে মাননীয়া দিদিকে (মুখ্যমন্ত্রী) বলব, দিদি আপনি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন । যদি সত্যি কোনও অপরাধ থাকে, আমি যদি দলবিরোধী কাজ করে থাকি, আপনি যা শাস্তি দেবেন আমি মাথা পেতে নেব । সে শাস্তি যদি মৃত্যুও হয় তাই মেনে নেব ।একটু তদন্ত করুন ।" সোনা আগেই বলেছিলেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন । সেই মতো তিনি রবিবার আত্মসমর্পন করেন । তিনি ওই ভিডিয়োতে বারবার বলেন, "আমি কোনও অপরাধ করিনি ৷"

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভিডিয়ো পোস্ট করে বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন তৃণমূল নেতা সত্যরঞ্জন শীল

তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সোনা শীলকে যে দোষারোপ দেওয়া হচ্ছে । এর পিছনে কারা আছে । সোনা শীল কি দোষী, না এর পিছনে কোনও রাজনীতি চলছে ? এসব প্রশ্নই উস্কে দিলেন সোনা ৷ তবে নির্বাচনের আগে সপ্তগ্রাম বিধায়কের ছায়াসঙ্গী ছিলেন এই সোনা । তিনিই হঠাৎ তৃণমূলের চক্ষুশূল হলেনই বা কেন সেটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে । তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে । এই গুলি চালনার ঘটনায় কারা জড়িত সেটা পরিষ্কার হলেই তা সামনে আসবে ।

আরও পড়ুন: হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে মদ খেয়ে ডিউটি করার অভিযোগ, বিক্ষোভ যুব তৃণমূলের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.