হাওড়া, 23 নভেম্বর: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর বক্তব্য, জেলে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন জ্য়োতিপ্রিয় ৷ তাই মন্ত্রীর বান্ধবীদের গ্রেফতার করা হোক ৷ এই প্রসঙ্গে সুকান্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও তোলেন ৷
বৃহস্পতিবার হাওড়ায় এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষনেতা ৷ সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন ৷ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘খাদ্যমন্ত্রী জেলে ৷ একজন তো বান্ধবী-সহ জেলে একা একা যাবে না ৷ দিদিমনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) ডাবল ডাবল চাকরি হবে, একটা চাকরির সঙ্গে আরেকটা চাকরি ফ্রি ৷ এখন দেখি গ্রেফতারও হচ্ছে একটার সঙ্গে আরেকটা ফ্রি ৷ অনুব্রত যাচ্ছে, সঙ্গে মেয়ে৷ পার্থদা গেল, সঙ্গে বান্ধবী ৷’’
এর পর তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তোলেন ৷ বলেন, ‘‘জ্যোতিদা এখনও একা আছে ৷ জ্য়োতিদার জন্য আমাদের কষ্ট হয় ৷ আমরা ইডি-সিবিআইয়ের কাছে অনুরোধ করব জ্যোতিদার প্রচুর বান্ধবী আছে আমরা খবর পেয়েছি ৷ একটা-দুটোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক যাতে জ্য়োতিদার নিঃসঙ্গতা কাটে ৷ আমরা সেটা চাই ৷’’
এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন ৷ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হার নিয়ে মমতা এ দিন কার্যত মোদির উপরই দায় চাপিয়েছেন ৷ সেই নিয়ে সুকান্ত পালটা কটাক্ষ করেছেন ৷ বিরাট কোহলির অফ ফর্মের প্রসঙ্গ টেনেছেন ৷ তাঁর দাবি, মমতার সঙ্গে করমর্দন করার পর বিরাট সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না ৷ পরে মন্দিরে-মন্দিরে পুজো দিয়ে ফের ফর্মে ফেরেন ৷
এছাড়া সংখ্যালঘু ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত ৷ তাঁর দাবি, ‘‘সংখ্যালঘুদেরকে ভুল বুঝিয়ে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করছেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের একটাই নীতি, কাজের বেলায় কাজি আর কাজ ফুরোলে পাজি । আগে বলেছিলেন সিএএ করতে দেবেন না, এখন বলছে এনআরসি করতে দেবেন না । এটা সংখ্যালঘু ভাইদেরকে বুঝতে হবে ।’’
ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন বিতর্ক শুরু হওয়ার পর এ দিন প্রথমবার প্রকাশ্য়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ সেই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত ৷ তিনি বলেন, ‘‘যিনি নিজের স্নো, পাউডার আর লিপস্টিকের জন্য দেশের সম্পত্তি বেচে দিতে পারেন, এই ধরনের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর এগিয়ে বাংলা মডেল তৈরি করেছে ।’’
আরও পড়ুন: