হাওড়া, 7 ডিসেম্বর: সম্প্রতি হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির দুর্নীতি ও যাত্রী পরিষেবায় আনফিট ভেসেল ব্যবহার অভিযোগ উঠেছিল ৷ যাতে যাত্রীদের জীবনের ঝুকিও ছিল ৷ পাশপাশি এই সংস্থার কর্মীদের বেতন না হলেও সংস্থার পরিচালনার ক্ষেত্রে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদর উমেশ রাই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই একটি কমটি গঠন করে তদন্ত শুরু করল রাজ্য সরকার ৷
এক সময়ে লাভজনক সংস্থা থাকলেও কয়েক দশক ধরেই এই সংস্থা লোকসানের মুখে চলছে । আর্থিক পরিস্থিতি এমনই বেহাল দশা যে কর্মীদের মাসের মাইনে দিতে পাচ্ছে না সংস্থাটি । বকেয়া রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রাপ্য। এ হেন পরিস্থিতিতে কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে বলেই সূত্রের খবর । এই পরিস্থিতিতে সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় । যদিও সেই তদন্তের ফলাফল আদৌ কী বেরোবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন দুর্নীতির অভিযোগকারী ও বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই । তিনি বলেন, "আমি এই সংস্থাতে বিভিন্ন দুর্নীতি ও যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী ও দফতরের মুখ্য সেক্রেটারিকে অভিযোগ পত্র পাঠাই । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সংস্থার দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি তৈরি হয়েছে । যদিও যে দফতরের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই দফতরের বিভাগীয় তদন্তে আদৌ কি ফল বেরোবে সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত। যে সংস্থা পরিবহণ দফতরের অধীনে চলার কথা, তা চলছে সমবায় দফতরের অধীনে । পরিবহণ দফতরের দেওয়া অর্থ খরচের হিসাব দিতে পারেনি ওই দফতর । আর পরিস্থিতি এমনই এখন, যে কোনো দিন এই সংস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।"
প্রসঙ্গত, হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির মোট ভেসেলের সংখ্যা 24টি। যার মধ্যে 5টি ভেসেল দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে পড়ে আছে । এছাড়াও সম্প্রতি সংস্থার 7টি ভেসেলকে নতুন করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । আরও একটি ভেসেল পরিবহণ দফতর থেকে স্ক্র্যাপ করার উদ্দেশ্যে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । বর্তমান পরিস্থিতিতে 9টি ভেসেলের মাধ্যমে পরিষেবা চললেও, মেঘমা ও কংসাবতী ছাড়া 7টি ভেসেলের ফিট সার্টিফিকেট নেই । সার্ভের মেয়াদও উত্তীর্ন হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: