হাওড়া, 26 সেপ্টেম্বর: টোটো এবং ই-রিকশা চললেও তার কোনও পারমিট নেই ৷ তাই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে শহর জুড়ে ৷ তাই এবার শহরের এই সমস্ত টোটো ও ই-রিকশা চলাচলের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটের কথা জানালেন ৷ সেইসঙ্গে কোন রুট দিয়ে টোটো চলবে এবং কোন রুট দিয়ে ই-রিকশা চলবে তা স্থানীয় প্রশাসন ঠিক করবে ৷ মঙ্গলবার হাওড়ায় এসে সে কথাই জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷
এদিন বিকেলে হাওড়ার পদ্মপুকুর ক্যারি রোডে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ৷ সেখানে শহরের টোটো এবং ই-রিকশার রুট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিন চাকার কোনও বাহন বা টোটো ইত্যাদি রাজ্য ও জাতীয় সড়কে যাতায়াত করতে পারবে না। এছাড়া যেখানে টোটো তৈরি হচ্ছে সেখানে যদি কোনও বেনিয়ম হয় তা-হলে তৎক্ষণাৎ সেই কারখানা সিল করে দেওয়া হবে ।" এদিন পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, যারা ইতিমধ্যেই টোটো চালাচ্ছেন তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন বসে আলোচনা করে কিউআর কোর্ড চালু করার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ পাশাপাশি একসঙ্গে সব টোটো না-চালিয়ে, শিফটিং পদ্ধতিতে চালানোর উদ্যোগ নিলে চাপ অনেকটাই কমবে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী ।
আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক, তাই বাস ভাড়া বাড়ছে না', মন্তব্য পরিবহণ মন্ত্রীর
বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে য়াওয়ার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে ৷ সেই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী বলেন, "ধর্মতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড তুলে দেওয়া হলে বিকল্প কোথায় ব্যবস্থা করা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । আগে যখন হাওড়া ব্যান্ডেল রুটের ট্রেন পথ প্রথম চালু হয়েছিল তখন ধর্মতলাকে কেন্দ্র করে অফিসপাড়া গড়ে উঠেছিল । এছাড়া যে সমস্ত দূরপাল্লার গাড়ি ধর্মতলা থেকে ছাড়ে সেই সমস্ত গাড়িগুলোকে আপাতত বিভিন্ন ডিপোতে রাখা হচ্ছে । যখন যে গাড়ির টাইম সেই টাইমের এক ঘন্টা আগে ডিপো থেকে ধর্মতলায় আনা হচ্ছে । সেখানে প্যাসেঞ্জার নিয়ে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে । 8-10 ঘণ্টা ধরে গাড়ি ধর্মতলা চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকছে না ৷"