ETV Bharat / state

Howrah Water Crisis: আড়াই দশক ধরে অমিল পানীয় জল, জানেন না পঞ্চায়েত প্রধান !

author img

By

Published : Oct 10, 2022, 10:29 PM IST

আড়াই দশক ধরে জলকষ্টে (Water Crisis) ভুগছেন হাওড়ার (Howrah) সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হীরাপুর ব্রাহ্মণতলার বাসিন্দারা ৷ জানা নেই পঞ্চায়েত প্রধানের ৷

severe Water Crisis in Sarenga Gram Panchayat of Howrah
Howrah Water Crisis: আড়াই দশক ধরে অমিল পানীয় জল, জানেন না পঞ্চায়েত প্রধান !

হাওড়া, 10 অক্টোবর: হাওড়ার (Howrah) সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Sarenga Gram Panchayat) হীরাপুর ব্রাহ্মণতলা ৷ 2017-18 সাল নাগাদ এই গ্রামেই হাওড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি নলকূপ বসানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, আজ তা থেকে জল বের করা আর ডুমুরের ফুল দেখা কার্যত সমান ! এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁদের অভিযোগ, এই গ্রামে পানীয় জলের সংকট (Water Crisis) নতুন কিছু নয় ৷ অথচ সব জেনেও উদাসীন প্রশাসন ৷ যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না !

গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, এলাকার কোনও টিউবওয়েল ভাঙা, তো কোনওটা থেকে উঠে আসা জল পানের অযোগ্য ৷ এদিকে, টাইম কলের লাইনও অচল ! সব মিলিয়ে চরম সংকটে এলাকার পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা ৷ বাসিন্দারা জানালেন, বহুবার তাঁরা পানীয় জলের সংযোগ গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ৷ কিন্তু, শুকনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি ৷ তাই গ্রামবাসীকে নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করে নিতে হয়েছে ৷ কী করেছেন তাঁরা ? অনেকটা হুকিংয়ের কায়দায় প্রধান পানীয় জল সরবরাহের পাইপ কেটে তার সঙ্গে ছোট ছোট পাইপ জুড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী ৷ তারপর বুকে দম নিয়ে সেই পাইপে মুখ দিয়ে টান মারছেন ভুক্তভোগীরা ! তবেই মিলছে রোজের পানীয় জল ৷ যা আদতে তাঁদের ন্যায্য পাওনা !

জলকষ্টে ভুগছেন ব্রাহ্মণতলার বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কুয়ো নলকূপ শুকিয়ে জলকষ্ট, অবৈধ খননকেই দুষছেন তুরতুরীর বাসিন্দারা

গ্রামেরই এক যুবক জানান, অনেকেই টাইম কলের লাইন পেতে মোটা টাকা দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তারপরও জল পাননি ! সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে স্থানীয় ক্লাবের সামনে একটি কল বসানো হয় ৷ এতে সমস্য়ার আংশিক সুরাহা হলেও সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি ৷ গ্রামের আর এক বাসিন্দা বললেন, গত 26 বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন তাঁরা ! কিন্তু, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷

যদিও গোটা বিষয়টি তাঁর অজানা বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মৃদুলা বাছার ৷ তিনি বলেন, তাঁর কাছে এ নিয়ে কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি ৷ সংবাদমাধ্যমের কাছেই প্রথম সমস্যার কথা জানলেন তিনি ৷ এবার এ নিয়ে খোঁজ করে দেখবেন ৷ সাধ্যমতো সমস্যার সমাধানসূত্র বের করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মৃদুলা ৷

অন্যদিকে গ্রামবাসীর বক্তব্য, আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা জলকষ্টে ভুগছেন ৷ অথচ, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে চলা পঞ্চায়েত সেকথা জানেই না ! ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এত দিন তাহলে কীভাবে কাজ করছিল সারেঙ্গা পঞ্চায়েত ?

হাওড়া, 10 অক্টোবর: হাওড়ার (Howrah) সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Sarenga Gram Panchayat) হীরাপুর ব্রাহ্মণতলা ৷ 2017-18 সাল নাগাদ এই গ্রামেই হাওড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি নলকূপ বসানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, আজ তা থেকে জল বের করা আর ডুমুরের ফুল দেখা কার্যত সমান ! এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁদের অভিযোগ, এই গ্রামে পানীয় জলের সংকট (Water Crisis) নতুন কিছু নয় ৷ অথচ সব জেনেও উদাসীন প্রশাসন ৷ যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, তিনি নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না !

গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, এলাকার কোনও টিউবওয়েল ভাঙা, তো কোনওটা থেকে উঠে আসা জল পানের অযোগ্য ৷ এদিকে, টাইম কলের লাইনও অচল ! সব মিলিয়ে চরম সংকটে এলাকার পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা ৷ বাসিন্দারা জানালেন, বহুবার তাঁরা পানীয় জলের সংযোগ গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ৷ কিন্তু, শুকনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি ৷ তাই গ্রামবাসীকে নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করে নিতে হয়েছে ৷ কী করেছেন তাঁরা ? অনেকটা হুকিংয়ের কায়দায় প্রধান পানীয় জল সরবরাহের পাইপ কেটে তার সঙ্গে ছোট ছোট পাইপ জুড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী ৷ তারপর বুকে দম নিয়ে সেই পাইপে মুখ দিয়ে টান মারছেন ভুক্তভোগীরা ! তবেই মিলছে রোজের পানীয় জল ৷ যা আদতে তাঁদের ন্যায্য পাওনা !

জলকষ্টে ভুগছেন ব্রাহ্মণতলার বাসিন্দারা

আরও পড়ুন: কুয়ো নলকূপ শুকিয়ে জলকষ্ট, অবৈধ খননকেই দুষছেন তুরতুরীর বাসিন্দারা

গ্রামেরই এক যুবক জানান, অনেকেই টাইম কলের লাইন পেতে মোটা টাকা দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তারপরও জল পাননি ! সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে স্থানীয় ক্লাবের সামনে একটি কল বসানো হয় ৷ এতে সমস্য়ার আংশিক সুরাহা হলেও সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি ৷ গ্রামের আর এক বাসিন্দা বললেন, গত 26 বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন তাঁরা ! কিন্তু, প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি ৷

যদিও গোটা বিষয়টি তাঁর অজানা বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মৃদুলা বাছার ৷ তিনি বলেন, তাঁর কাছে এ নিয়ে কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি ৷ সংবাদমাধ্যমের কাছেই প্রথম সমস্যার কথা জানলেন তিনি ৷ এবার এ নিয়ে খোঁজ করে দেখবেন ৷ সাধ্যমতো সমস্যার সমাধানসূত্র বের করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মৃদুলা ৷

অন্যদিকে গ্রামবাসীর বক্তব্য, আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা জলকষ্টে ভুগছেন ৷ অথচ, পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে চলা পঞ্চায়েত সেকথা জানেই না ! ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এত দিন তাহলে কীভাবে কাজ করছিল সারেঙ্গা পঞ্চায়েত ?

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.