হাওড়া, 12 সেপ্টেম্বর: স্কুলের ভিতরে ঢুকে স্কুল শিক্ষকদের মারধরের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল হাওড়ার শ্যামপুরের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দশম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন অন্য ছাত্রদের বিরক্ত করছিল সেই ক্লাসেরই এক ছাত্র ৷ বিষয়টি এক শিক্ষকের নজরে পড়লে তিনি তাকে বারণ করেন। যদিও কথা না-শোনায় ওই শিক্ষক ছাত্রকে কান ধরে উঠবোস করতে বলেন। আর তা না-করায় সেই ছাত্রকে ক্লাসরুম থেকে বাইরে বের করে দেন তিনি।
এরপরও শিক্ষকের নির্দেশ না-মানলে তাকে শিক্ষক বাড়ি চলে যেতে বলেন। ছাত্রের অভিভাবককে ডাকা হবে বলেও জানান ওই শিক্ষক। ওই ছাত্র শিক্ষকের কোনও কথার ভ্রুক্ষেপ না-করায় ছাত্রর কান মুলে দেন বলে দাবি শিক্ষকের। এর পরেই ওই ছাত্র টিফিন টাইমে স্কুল থেকে বেরিয়ে তার আত্মীয়কে ডেকে নিয়ে আসে। ওই আত্মীয়ের সঙ্গে আসেন কিছু বহিরাগত ৷ স্কুলের ভিতরে ঢুকে সেই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তারা। কিল, চড় এবং ঘুসি চলতে থাকে শিক্ষকদের উপর। কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। শিক্ষকের উপরে হামলায় বাধা দিতে গেলে অন্যান্য শিক্ষদের ওপরেও পালটা হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। হামলা ও মারধরের গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে স্কুলের সিসি ক্যামেরায়।
শিক্ষকদের অভিযোগ, আক্রান্ত শিক্ষকদের হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের ওপরেও চড়াও হয় হামলাকারীরা। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত ওই স্কুলের শিক্ষকরা। যদিও সোমবারের ঘটনার উল্লেখ করে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেই শ্যামপুর থানা সূত্রে খবর। ঘটনাতে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাক্তন ছাত্ররা। এই ঘটনাকে সমাজের অধঃপতন বলেই দাবি করছে শিক্ষক মহল।
আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যু থেকে শিক্ষা নিয়ে অ্যান্টি র্যাগিং কর্মসূচি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে