হাওড়া, 21 মে : ইসলাম হোক বা খ্রীষ্টান, প্রত্যেকটি ধর্মের প্রবর্তকই ছিলেন হিন্দু ৷ সনাতনী বৈদিক শাস্ত্রীয় নামে তাদের পূর্বপুরুষদের নাম এবং পারিবারিক পরিচয় ৷ সালকিয়ায় এসে বিতর্কিত মন্তব্য শঙ্করাচার্য স্বামী নিশিরানন্দ স্বরস্বতীর। যুগে যুগে ইসলাম ও খ্রীস্টান আধিপত্যের কারণে হিন্দু সংস্কৃতি ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে ৷ মন্দির ভেঙেই গড়ে উঠেছে মসজিদ, গির্জা (Saint says all the mosques built in this country by demolishing temples) ৷ বর্তমান সময়ে চর্চায় থাকা জ্ঞানবাপী মসজিদের উপরের কাঠামো হিন্দু মন্দিরের, এমন দাবি করে স্বামী নিশিরানন্দ স্বরস্বতী মহারাজ উসকে দিলেন তাজমহলের নীচে শিবমন্দিরের অস্তিত্বকেও।
সন্তের দাবি, ওটা তাজমহল নয় ওটা তেজো মহল। সম্রাট শাহজাহানের তৈরি প্রেমের সৌধ আদতে শিব মন্দির বলেই দাবি শঙ্করাচার্যের ৷ আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে তিনি জানান, হজরত মহম্মদের পূর্বপুরুষেরাও হিন্দু ছিলেন। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের পূর্বপুরুষ আদি সনাতনী বৈদকাল হিন্দুই ছিলেন ৷ দেশে মুসলিম ও খ্রীষ্টান শাসনকালে জ্ঞাণবাপী-সহ সমস্ত হিন্দু মন্দিরকে পরিবর্তন করা হয়েছে, দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পুনরায় হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান স্বামী নিশিরানন্দ স্বরস্বতী।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা বারাণসী দায়রা আদালতের হাতে সঁপে দিল শীর্ষ আদালত
তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবির এখানেই শেষ নয় ৷ শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং গান্ধিজি ব্রিটিশদের সঙ্গে যুক্ত করে চক্রান্ত করেছেন এবং সেই থেকেই এই দেশে দুর্ভোগ শুরু হয়। বাংলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, যে পার্টির সাংসদ সংসদ কক্ষে দাড়িয়ে গো-হত্যার বৈধতা নিয়ে সওয়াল করে সেই দলকে যারা ভোট দিয়ে রাজ্যের মানুষ রাজ্যকে নিজদের দিশাহীনতাকেই প্রমাণ করেছে।