হাওড়া, 26 অক্টোবর: 11 বছর ধরে জেলবন্দি আসামির দেহ উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এসএসকেএম থেকেই নিখোঁজ হয়েছে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার । সেদিন কলকাতার হেস্টিংস থানা থেকে হাওড়ার চন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয় যে জেলবন্দি আসামি বাবলু পোললের মৃত্যু হয়েছে । এরপর চন্দ্রপুর থানা থেকে যোগাযোগ করা হয় হাওড়ার চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত বাবলুর পরিবারের সঙ্গে ।
পরিবারের দাবি, পুলিশ রবিবার (অষ্টমীর দিন) এসে দেহ নিয়ে যেতে ৷ পরে সেই তারিখ বদলে সোমবার (নবমীর দিন) এসএসকেএম থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসার জন্য তাঁদের যেতে বলা হয় । যদিও সেদিন হাসপাতালে গেলেও বাবলুর মৃতদেহ তাঁদের হাতে দেওয়া হয়নি । যদিও এর পেছনে কোনও রহস্য আছে কি না, তারা বুঝে উঠতে পারেননি ।
পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ কোনোভাবে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি । বাবলু পোললের দেহ ভুল করে অন্য কেউ নিয়ে গিয়ে দাহ করে দিয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে । তাই এই নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃতের পরিবার ।
মৃতের ভাগ্নি মিতালি হাজরার অভিযোগ, দীর্ঘ 11 বছর তাঁর মামা জেলবন্দি ছিলেন । চলতি মাসের 20 তারিখে তাঁদের কাছে মামার মৃত্যুর খবর আসে । প্রথমে তাঁদের জানানো হয় অষ্টমীর দিন দেহ নিয়ে আসতে । পরে অষ্টমীর পরিবর্তে নবমীর দিন তাঁদের ডাকা হয় । সঙ্গে সব কাগজপত্র আনতে বলা হয় । কাগজপত্রের কাজ সেরে তাঁদের মর্গে গিয়ে দেহ সনাক্ত করতে বলা হয় ।
আরও পড়ুন: সাঁতরাগাছিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু রেলকর্মীর
তাঁর দাবি, রাত 9টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও মৃতদেহ দেওয়া হয়নি । পুলিশ নিজেও মৃতদেহ সনাক্ত করতে পারেনি । আবার নবমীর দিন যেতে বলা হলে ভাইয়ের শরীর খারাপ থাকার জন্য তাঁরা যেতে পারেননি । বুধবার 25 তারিখ ফোন করে জানতে চাওয়া হলে পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়নি ।
মিতালি বলেন, ‘‘এরপর হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মামার মৃতদেহ নিখোঁজ ৷ অন্য কাউকে দিয়ে সেই দেহ সৎকার করা হয়ে গিয়েছে । আমরা আইনজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে আইনের দ্বারস্থ হব ও এর বিচার চাইব ।"
সূত্রের খবর, মোট 6টি মৃতদেহ দেখানো হয়েছিল বাবলুর পরিবারের সদস্য়দের৷ যার মধ্যে কোনোটাই বাবলু পোললের ছিল না বলেই অভিযোগ পরিবারের । বাবলু পোললেকে হত্যা করা হয়েছে ! নাকি তিনি এখনও জীবিত আছেন, তাই নিয়েও সন্দিহান পরিবারের সদস্যরা ।
আরও পড়ুন: হাওড়ার তেলের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের 11টি ইঞ্জিন