হাওড়া, 19 এপ্রিল: ঈদের আগে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত একের পর এক দোকান ৷ বুধবার গভীর রাতে হাওড়ার চেঙ্গাইল ল্যাডলো বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধ্বংসী এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে স্থায়ী-অস্থায়ী প্রায় 150 টি দোকান ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাত 1টা15 মিনিট নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে ৷ প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে ৷ পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় দমকল অফিসে ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ৷ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে বিধ্বংসী আগুন ৷ স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, এই আগুন লাগার পিছনে ওই বাজার কর্তৃপক্ষের হাত রয়েছে ৷ তাদের আরও দাবি, সঠিক সময়ে দমকলকে খবর দেওয়া হলেও খবর পাওয়ার প্রায় দু'ঘণ্টা পরে দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৷ দমকল যদি ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে চলে আসত, তাহলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কম হত ৷ এলাকাবাসী দমকল ও পুলিশের কাছে তাদের ক্ষোভ উগরে দেয় ৷
স্থানীয় আক্রম খানের অভিযোগ, এই আগুন লাগার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ল্যাডলো বাজার কর্তৃপক্ষ ৷ তিনি এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন ৷ তাঁর কথায়, "রাত 1.15 মিনিটে যখন আগুন লাগে, তখন তাঁরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ বারবার বলা সত্ত্বেও বাজারের মেনগেট খোলা হয়নি ৷ এরপর আগুন আরও ছড়িয়ে যাওয়ার পর বাজারে কর্তব্যরত ল্যাডলোর কর্মীরা পালিয়ে যায় ৷ ঈদ উপলক্ষ্যে বহু ব্যবসায়ীকে এখানে দোকান দেওয়া হয়েছিল ৷ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী পুড়ে নষ্ট হয়েছে ৷" তাঁর আরও আক্ষেপ, এই ঘটনায় ঈদের আগে বহু দোকানদার সর্বস্বান্ত হয়েছেন ৷
আক্রম খান আরও বলেন, "ঈদ উপক্ষ্যে অনেক দোকানদার নিজেদের সবকিছু জমা রেখে দোকান নিয়েছিল ৷ আগুনে তাদের সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ তারা পথে বসেছে ৷" এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ও দোকানঘর ভস্মীভূত হওয়ার পর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পুলিশ বাহিনী জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: নববর্ষের সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ভস্মীভূত দুর্গাপুরের পুলিশ ফাঁড়ি