হাওড়া, 7 মে : লকডাউনের জেরে আটকে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির কর্মীদের বেতন । সমস্ত রুট মিলিয়ে বকেয়া বেতনের পরিমাণ প্রায় 40-42 লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই বিষয়টির দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সমিতির আধিকারিকরা । এনিয়ে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ভূমিকাকে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন সম্পাদক ।
হাওড়া-বাগবাজার, হাওড়া-আর্মেনিয়ান, হাওড়া-ফেয়ারলি, হাওড়া-বাবুঘাট, হাওড়া-চাঁদপালঘাট, রামকৃষ্ণপুর-বাবুঘাট, নাজিরগঞ্জ-মেটিয়াবুরুজ, বাউরিয়া-বজবজ, গাদিয়াড়া-নুরপুর গেওখালির মতো রুটগুলির মোট চারশোর বেশি কর্মচারীর এখনও পর্যন্ত বেতন হয়নি । কিন্তু কেন হঠাৎ এই সমস্যা ? হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, "যেহেতু হাওড়া এবং কলকাতা দুটি শহরই রেড জ়োন এবং শহরের একাধিক জায়গা কনটেনমেন্ট জ়োনের আওতায়, তাই ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ রয়েছে। সেজন্য বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত কর্মচারীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে ।" তিনি জানান, সমিতির হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ রয়েছে যা দিয়ে কর্মচারীদের বেতন মেটানো সম্ভব। একই দাবি হুগলি নদীর জল পরিবহন সমবায় সমিতির বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আমানুল ইলালেরও।
যদিও এর পিছনে অন্য কারণের কথা বলছেন হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক তথা হাওড়া পৌরনিগমের 15 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুপ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "যতদিন নির্বাচিত বোর্ড ছিল ততদিন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয়নি সমবায় সমিতি। কিন্তু অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অধীনে থাকাকালীন এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে।" তাঁর কথায়, অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের গাফিলতির জেরেই বেতন দিতে দেরি হচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, হুগলি জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির ইউনিয়ন শাসকদলের অধীনে। অন্যদিকে প্রাক্তন সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তীও শাসকদলের কাউন্সিলর ছিলেন। ফলে কোথাও যেন গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসছে। তবে দুপক্ষই জানাচ্ছে, এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় ।