আমতা, 20 ফেব্রুয়ারি : ছাত্রনেতা আনিশ খানের মৃত্যুতে (Student Leader Anish Khan Death) ক্ষোভে ফুটছে হাওড়ার আমতা ৷ যার আঁচ এলাকা ছাড়িয়ে ক্রমে ছড়াচ্ছে ৷ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার আমতার বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি ৷ আমতার কলতলা মোড় থেকে মিছিল করে আমতা থানার দিকে মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা ৷ কিন্তু মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ ৷ আমতা থানার কয়েকশো মিটার করা হয়েছিল ব্যারিকেড ৷ বাধা পেয়ে সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এসএফআই-সহ অন্যান্য বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা ৷ ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা ৷ পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় তাঁদের ৷ আনিশের হত্যাকারীদের পুলিশ আড়াল করতে চাইছে বলে তাঁদের অভিযোগ ৷
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই পড়ুয়া বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের পরিচিত মুখ ছিলেন ৷ সম্প্রতি তিনি আইএসএফে যোগ দেন ৷ এই দলে যোগ দেওয়াই আনিসের কাল হল কিনা, সে প্রশ্ন আগেই উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, প্রাণ সংশয়ের কথা জানিয়ে আগেই পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন আনিশ ৷ তারপরেও তাঁর এই রহস্য মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ৷ শুক্রবার রাতে আনিশের বাড়িতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে যে চার ব্যক্তি এসেছিল তারা যদি পুলিশ না হয় তবে তারা কারা ? এই প্রশ্নও উঠছে ৷ ঘটনায় এখনও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলছে মৃত ছাত্র নেতার পরিবার-প্রতিবেশীরা ৷
আরও পড়ুন : পুলিশে ভরসা নেই, ছেলের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি আনিসের বাবার
পুলিশের তদন্ত নিয়েও ছড়িয়েছে ক্ষোভ ৷ অভিযোগ, ঘটনার প্রায় 30 ঘণ্টা পর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল চিহ্নিত করতে রবিবার সকালে আনিশের বাড়িতে যায় পুলিশ ৷ আনিশের পরিবারের দাবি, পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না ৷ ঘটনার দিন রাতে আমতা থানাতে খবর দেওয়া হলেও সেদিন রাতে দেখা মেলেনি আমতা থানার কোনও পুলিশ কর্মীদের । পরদিন সকাল সাড়ে আটটায় আনিশের বাড়িতে এসে তাঁর দেহ নিয়ে চলে যায় পুলিশ ৷ সেদিনও পরে আর পুলিশের দেখা মেলেনি ৷ প্রশ্ন, উঠছে পুলিশ এত দেরি করে কেন ঘটনাস্থল চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হল, সেক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে ৷
এরই মাঝে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন আনিশের বাবা সালেম খান ও তাঁর প্রতিবেশীরা ৷ তাঁদের দাবি, ঘটনা ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে ৷ শনিবার সকালে পুলিশ বাড়িতে এসে তাঁর দেহ নিয়ে যায় ৷ কিন্তু পরিবারের সদস্যরা থানায় পৌঁছনোর আগেই আনিশের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রথমে আমতা হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে উলুবেড়িয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ কেন বাড়ির লোককে পৌঁছনোর আগেই এভাবে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করা হল সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা ৷ ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন সালেম খান ৷
রবিবার সকালে পুলিশ আনিশের বাড়িতে গেলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের ৷