বোলপুর, 28 অগস্ট: এ বার হাওড়া স্টেশনেই (Howrah station) ধরা দেবে এক মুঠো শান্তিনিকেতন (Santiniketan handcrafts at Howrah)৷ বোলপুরের শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্প সংস্থা 'আমার কুটির সোসাইটি'র (Amar Kutir Society) শাখা খুলল হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স এলাকায় ৷ আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পূর্ব রেলের মুখ্য ব্যবস্থাপক মণীশ জৈন এবং হাওড়া রেলওয়ের মহিলা ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান ।
বীরভূম জেলার বোলপুরে 1910 সালে ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ পরবর্তীতে 1918 সালে বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় এবং 1921 সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের । শান্তিনিকেতনে 'আমার কুটির' পথ চলা শুরু করে 1923 সাল থেকে । যদিও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে 1978 সালে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে নতুন করে 'আমার কুটির সোসাইটির' হস্ত শিল্প সংস্থা যাত্রা শুরু করে ৷ আজ এই সংস্থার শাখা খোলা হল হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স এলাকায় ।
রবিবার বেলা 11.30টা নাগাদ সংস্থার বিপণি কেন্দ্রের ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন হাওড়া শাখার মুখ্য ব্যবস্থাপক । এই বিপণী সম্বন্ধে সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক অমিয় বাবু জানান, এই সংস্থা স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তখন ভারতে ব্রিটিশ রাজত্ব চলছে । সেই সময় ব্রিটিশরা 'আমার কুটির সোসাইটি'কে অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয় । পরবর্তীকালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর 1947 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগিতায় পুনরায় চালু করা হয় আমার কুটির সোসাইটি ।
আরও পড়ুন: জবরদখল হয়ে থাকা জমি ফিরে পেতে বোলপুর পৌরসভাকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের
বর্তমানে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রায় 1200 হস্তশিল্পী ৷ সারা রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় 'আমার কুটির সোসাইটি'-র বিপণন কেন্দ্র ছড়িয়ে আছে ৷ তবে কলকাতা শহরে তাদের কোন বিপণন কেন্দ্র নেই । তাই তারা রেলের মহিলা ওয়েলফেয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাওড়া স্টেশনে ওল্ড কমপ্লেক্সের ভিতরে আমার কুটির সোসাইটি-র শোরুম উদ্বোধন করেন । সংস্থার সদস্যরা পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান ।
পরবর্তীকালে এই দোকানেই রেলের নিজস্ব মহিলা ওয়েলফেয়ার সংস্থার তৈরি সমস্ত দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে সংস্থা সূত্রে । এ ছাড়াও অতি অল্প মূল্যে শান্তিনিকেতনে তৈরি হস্তশিল্পের বিভিন্ন ধরনের পণ্য এখানে পাওয়া যাবে । বছরের 365 দিন সকাল ন'টা থেকে রাত্রি নটা পর্যন্ত এই বিপণন কেন্দ্রটি খোলা থাকবে । আবার খুব শিগগিরই অনলাইনেও শুরু হবে বিকিকিনি ৷