হাওড়া, 21 অগাস্ট : ছবিটা খুব চেনা ৷ সংকীর্ণ গলি ৷ একের পর এক লাগোয়া ঘর ৷ তবে বস্তির 400 পরিবারের জন্য বরাদ্দ শৌচালয়ের সংখ্যাটা খুব কম ৷ মাত্র দু'টি ৷ তাও আবার অপরিষ্কার ৷ নর্দমাগুলিও ঠিক করে পরিষ্কার করা হয়নি বহুদিন ৷ এভাবেই দিন কাটছিল হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডের বস্তিবাসীদের ৷ সোমবার হঠাৎ যেন সেই অভ্যেসের একটু পরিবর্তন এল ৷ প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে, বস্তিবাসীদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বস্তির উন্নয়ন থেকে শুরু করে বস্তির 400টি পরিবারকে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তিনি । ক্ষোভ উগরে দেন বস্তির শৌচাগারের হাল দেখে । কেন 400টি পরিবারের জন্য মাত্র দু'টি শৌচাগার? প্রশ্ন তুলে হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজয় কৃষ্ণকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই ছবিটা যেন বদলে গেল ৷ বলা যায়, এতদিন গুটিয়ে সুটিয়ে বসা প্রশাসনের টনক নড়ল ৷ এবার পাকা ঘর পেতে চলেছেন বস্তির 400টি পরিবার ৷ তিনশো বর্গফুটের ঘর দেওয়া হবে তাঁদের ৷ গতকাল সন্ধ্যায় বস্তিতে এসে একথা জানান, রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় । পৌর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় আসেন তিনি ৷ গতকাল সকালেই নর্দমা, শৌচালয় সব পরিষ্কার করা হয় ৷ সবরকম জটিলতা কাটিয়ে আগামী দেড় মাসের মধ্যে প্রোজেক্টের ডিটেল রিপোর্টও জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয় ৷ ইমপ্লিমেন্ট হয়ে গেলেই শুরু হবে কাজ । রাজ্য সরকারের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধীনে এই ঘর দেওয়া হবে ।
এখনও কাজ শুরু হয়নি ৷ তবে আশ্বাস পেয়েই যেন খুশি বস্তিবাসী ৷ তাঁরা বলেন, "দিদি বললেন সব হো জায়েগা ৷ ব্যাস তাতেই ভালো লাগল ৷ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে ৷ তবে শুধু আজ নয় এবার থেকে যেন প্রতিদিন এই কাজের গতি বজায় থাকে ৷"