শিবপুর (হাওড়া), 1 এপ্রিল: অশান্ত শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন ৷ দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে সিআইডি ৷ নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, সেই দিকে নজর রয়েছে পুলিশের আধিকারিকদের ৷ একই সঙ্গে নজরদারি চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ৷ কারণ, গোয়েন্দাদের ধারণা যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও নতুন করে উস্কানি দেওয়া হতে পারে ৷ ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে পুরনো গোলমালের ভিডিয়ো ৷ সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে সিআইডির সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামনবমীর সন্ধ্যায় হাওড়ার শিবপুরের সন্ধ্যাপাড়া এলাকায় অশান্তি বাঁধে ৷ পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের আকার নেয় ৷ শুক্রবারও পরিস্থিতি ছিল থমথমে ৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে 11 জন আইপিএসকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া প্রশাসনের তরফে ৷ তদন্তে নেমেছে সিআইডি ৷
সিআইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই হাওড়া কমিশনারেটের কাছ থেকে এই ঘটনার কেস ডায়েরি সংগ্রহ করেছে সিআইডি । কীভাবে ঘটনা ঘটল, কোথা থেকে গোলমালের শুরু, কারা কারা জড়িত সেটাও খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা ৷ গোয়েন্দারা এদিন দু’টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করেছেন ৷ একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে ৷ অন্য একটি দল পৌঁছে যান শিবপুর থানায় ৷ সেখানে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠির সঙ্গে বৈঠক করেন ৷
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর পুলিশ ৷ এলাকায় টহল দিচ্ছে একদল আইপিএস আধিকারিক । ইতিমধ্যেই বর্তমানে ডিআইজি মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ রাশেদ মনির খান হাওড়ায় এসেছেন ৷ তিনিও শিবপুর থানায় গিয়ে প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠির সঙ্গে কথা বলেন ৷ এছাড়া কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কর্মী ও আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছেন । মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকেও ৷
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবারই 36 জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ ৷ তার পর আর কেউ গ্রেফতার হয়েছেন কি না, সেই খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, ওই 36 জনকেও জেরা করা হবে ৷ তাদের থেকে এই অশান্তির মূলচক্রীদের হদিশ করার চেষ্টা করা হবে ৷
আরও পড়ুন: অশান্তির জের, শিবপুরের দায়িত্বে 11 জন আইপিএস আধিকারিক