হাওড়া, 14 নভেম্বর: শিক্ষা জাতির ভবিষ্যৎ ৷ তবে সেই শিক্ষার্জনের পথে যদি বাধা সৃষ্টি হয় তবে তা জাতির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৷ যেমনটা ঘটেছে হাওড়ার বাণীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংস্থান খুঁজতে আসরে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রের কর্মীরা ৷ শুধু স্থায়ী সেন্টার নয়, এই কেন্দ্রে মাত্র 2জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও 1 জন সহ-কর্মী আছেন ৷ স্থানীয় বিডিও থেকে পঞ্চায়েত প্রধান সকলকে বিষয়টি জানালে, আশ্বাস মিললেও কোনও সুরাহা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: খিচুড়িতে কেন্নো, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘ 20 বছর ধরে হাওড়ার বাণীপুর পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে যাযাবরের মতো (Howrah Anganwadi Centre) ৷ শুধু যে স্থায়ী ঠিকানা নেই তা নয়, নেই পনীয় জন ও শৌচালয়ের ব্যবস্থাও ৷ তাও স্থানীয় ক্লাবের মধ্যে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ৷ তবে ক্লাব থেকে আপত্ত জানালে তখন আবার নতুন ঠিকানা খুঁজতে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য ৷ এই বাধা-বিপত্তির মধ্যে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ৷ এই কেন্দ্রের কর্মী রুমু পাল বলেন, "অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও বাথরুম ও জলের সংযোগ নেই। যার ফলে লোকের বাড়ি থেকে জল চেয়ে আনতে হয়। কখনও দূরের কল থেকে জল বয়ে আনতে হয়। এখন দেশবন্ধু ক্লাব তাঁদের ক্লাস চালানোর অনুমতি দিলেও, আশঙ্কা স্থায়ী জলের কল ও বাথরুম না পেলে ফের তাঁদের কেন্দ্রের স্থান বদলাতে হতে পারে। এর আগে তাঁরা 13 বছর ওই ক্লাবে কাটিয়েছেন। এই সমস্যার জন্যই ছাড়তে হয়। এরপর সাত বছর অন্য ক্লাবে ক্লাস করাতে পারলেও জল ও বাথরুম না হওয়ার জন্য সেই স্থান পরিত্যাগ করে ফের দেশবন্ধু ক্লাবে এসেছেন।" সমস্যার সমাধান করতে লিখিতভাবে তাঁদের সমস্যার কথাও জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতকে ৷ কীভাবে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন তাঁর উপায় জানা নেই তাঁদের।
আরও পড়ুন: Home Retrun: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টায় ফিরল বাড়ি নাবালক
ওই কর্মীর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বাণীপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তপন দাস। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান ও মুখ্য ব্লক আধিকারিককে বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন ৷ তাতেও কোনও কাজ হয় নি। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই কাজ করানোর জন্য ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷" তবে তারপরেই পঞ্চায়েত এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি ৷ এমনই অভিযোগ উপ-প্রধানের ৷
যদিও কুড়ি বছর ধরে সমস্যায় ভোগা এই কেন্দ্র নিয়ে পাঁচ বছর পূর্ণ হতে চলছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ৷ বানীপুর পঞ্চায়েত প্রধান রীতা দাস বলেন, "কর্মীদের লিখিত ভাবে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে বলেছিলেন জন্য বলেছিলেন। তবে সেই সময়ে তাঁকে কোনও চিঠি দেওয়া হয় নি। সম্প্রতি তাঁকে লিখিতভাবে জানান হয়েছে। এক মাসের মধ্যে অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব ৷"