হাওড়া, 7 জুন: লোকে সাধারণত বড়বেলায় নোবেল পায়, তিনি ছোটবেলাতেই পেয়েছিলেন৷ তার চেয়ে বড় কথা, তাঁর সেই নোবেল চুরি করেছে অমর্ত্য সেন৷ সেই নোবেল ফেরানোর দাবিতেই আজ হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসেন গড়িয়ার ডলি ঘোষ৷ পরে পুলিশ ও দমকলের চেষ্টায় মহিলাকে নিচে নামানো হয়৷ তবে, নোবেল ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়ার পরেই মানসিক ভারসাম্য়হীন ওই মহিলা ব্রিজের পিলার থেকে নামতে রাজি হন৷
জায়েন্ট পিলার বেয়ে হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসার ঘটনা আগেও ঘটেছে ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্য়ক্তিরা ব্রিজে উপরে বিপজ্জনকভাবে চড়ে বসেছেন৷ এছাড়াও ব্রিজের পিলার বেয়ে উঠে সেখান থেকে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে ৷ অন্যদিকে মানসিক ভারসাম্যহীনদের ব্রিজ থেকে নামাতে প্রত্যেকবারই বেদম অবস্থা হয়েছে পুলিশ ও দমকলকর্মীদের৷ রবিবার সন্ধেবেলায় তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল প্রত্যক্ষদর্শীরা৷
এই দিন সন্ধে 6 টা নাগাদ এক মহিলা ব্রিজের 4 নম্বর পিলার বেয়ে বেশ খানিকটা উপরে উঠে পড়েন৷ হঠাৎই বিষয়টি নজরে আসে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মী ও নিত্যযাত্রীদের। দ্রত খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থানে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। পুলিশ ও দমকলের চেষ্টায় নামানো সম্ভব হয় মহিলাকে। তবে, সেতু থেকে নামার আগে মহিলা জানান, ছোটবেলায় তিনি নোবেল পেয়েছিলেন৷ সেই নোবেল চুরি করেছে অমর্ত্য সেন৷ এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্য়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন৷ যদিও রাজ্যপাল কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ তারই প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্য়ায় হাওড়া ব্রিজে চড়ে বসেন তিনি৷ তাঁর নোবেল তাঁকে ফিরিয়ে না দিলে তিনি নিচে নামবেন না বলেও জানান৷ বলা বাহুল্য, এই বিষয়ে আশ্বাস দেন উদ্ধারকারী পুলিশ ও দমকলকর্মীরা৷ তারপরই ওই মহিলাকে নিচে নামানো সম্ভব হয়৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার নাম ডলি ঘোষ। তিনি গড়িয়ার অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা।