উত্তরপাড়া, 16 ফেব্রুয়ারি: পিকে-চুনি-বলরাম । এক সঙ্গে ত্রয়ীর নাম উচ্চারিত হত মাঠে ৷ প্রথম দু'জন আগেই চলে গিয়েছিলেন । এবার ফুটবলের আরও এক নক্ষত্রের পতন । দীর্ঘদিন রোগভোগের পর প্রয়াত তুলসীদাস বলরাম । বৃহস্পতিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় । কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকের ছায়া উত্তরপাড়ায় তাঁর আবাসনে (Tulsidas Balaram passes away) ।
প্রায় 10 বছর ধরে উত্তরপাড়ার জিটি রোডের পাশে গঙ্গার ধারে একটি আবাসনে বাস করতেন তিনি । একাই থাকতেন একসময়ের ময়দান কাঁপানো ফুটবলার । বেশ কয়েক বছর ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত রোগে । দিনকয়েক আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলরাম (Uttarpara mourns the death of Former Footballer Tulsidas Balaram )।
ঘরে ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও খাট ছাড়া কিছুই নেই । বহুদিন আগেই মাঠ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন । মাঝে কোচিং করলেও তাও বন্ধ করে দেন । খেলা থেকে সরে আসার পর নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন, প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমনে বেরোতেন । কয়েকবছর ধরে সেসবও বন্ধ হয়ে যায় ।
প্রতিবেশী স্মিতা সরকার বলেন, "কিছু বলার মতো ভাষা নেই । আমি ভেবেছিলাম উনি বাড়ি ফিরে আসবেন । বাড়িতে যে আসবেন না, এটা দুঃখ রয়ে গেল । বাড়িটাকে এত ভালোবাসতেন, আমাদেরও এত ভালোবাসতেন । অভিভাবকের মতোই ছিলেন তিনি । আমাদের সকলের জন্য ভাবতেন । মানুষ হিসেবে খুবই ভালো ছিলেন ।" উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, "আমাদের রাজ্যের কাছে, দেশের কাছে গর্বের মানুষ ছিলেন । বিভিন্ন সময় তাঁর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছি । সমস্ত অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে থাকতেন । তাঁর প্রয়াণে শোকাহত ও মর্মাহত ।উত্তরপাড়ার মানুষ তাঁকে মনে রাখবে ।"
আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলে ফের নক্ষত্রপতন, প্রয়াত তুলসীদাস বলরাম
তাঁর মৃত্যুতে হুগলির প্রাক্তন ফুটবলার তনুময় বসু বলেন, "ফুটবলের আরেক তারকা চলে গেলেন । আমি শোকস্তব্ধ । বলরামের সঙ্গে আমার আলাপ ফুটবলের জন্যই । বিএনআরে আমি ট্রায়ালে গিয়েছিলাম, তখন দেখা । পরে রেলে থাকাকালীন ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল । নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন ।"