ETV Bharat / state

লকডাউন পরিস্থিতিতে রুজি হারিয়ে বিপাকে পরিবহণ শ্রমিক ও গাড়ির মালিকরা

করোনা আবহে লকডাউন পরিস্থিতির জেরে বিপাকে হুগলির পরিবহণ ব্য়বসায়ী ও শ্রমিকরা ৷ প্রায় এক মাস ধরে অচল বাস ৷ টোটো, অটো চালানোরও নিয়ম নেই ৷ তারপরও ঝুঁকি নিয়ে তিন চাকার এই যান নিয়ে রাস্তায় নামছেন চালকরা ৷ তবে রাতে রোজগার তেমন হচ্ছে না ৷ ফলে সামগ্রিক ভাবে টান পড়েছে পরিবহণ শ্রমিকদের আয়ে ৷ বেকায়দায় গাড়ির মালিকরাও ৷ সকলেই তাকিয়ে আছেন সরকারের দিকে ৷ দাবি, স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি ৷ না হলে অন্তত বাড়তি কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক ৷

transport workers and bus, toto, auto owners in financial crisis during lockdown period
লকডাউন পরিস্থিতিতে রুজি হারিয়ে বিপাকে পরিবহণ শ্রমিক ও গাড়ির মালিকরা
author img

By

Published : Jun 9, 2021, 7:38 PM IST

হুগলি, 9 জুন : করোনার প্রকোপ রুখতে রাজ্য়জুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করেছে সরকার ৷ যার জেরে বন্ধ বাস, অটো ও টোটো পরিষেবা ৷ ফলে বন্ধ গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের রোজগারও ৷ হুগলি জেলায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা 500-রও বেশি ৷ আর টোটো-অটো রয়েছে অন্তত কয়েক হাজার ৷ বিধিনিষেধের জেরে আজ সেসবই ‘অচল’ ৷ কর্মহীন হয়ে ঘোর আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটছে পরিবহণ শ্রমিকদের ৷ বিপাকে পড়েছেন গাড়ির মালিকরাও ৷ গাড়ি কেনার ঋণ শোধ করাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের পক্ষে ৷

গত বছর করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে যায় গোটা দেশ ৷ মাসের পর মাস চলতে থাকে অচলাবস্থা ৷ তার জেরে প্রায় সাত মাস রুজিরুটি বন্ধ থাকে পরিবহণ ব্য়বসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকদের ৷ পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ফের সংক্রমণের হার বাড়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় এক মাস বসে ধরে বসে রয়েছে গাড়ি ৷ এতে রোজগার যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনই দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার জেরে গাড়ির কল-কবজা বিগড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷

গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি ৷ এই অবস্থায় কীভাবে গাড়ি চালাবেন, ভেবে পাচ্ছেন না মালিকরা ৷ কীভাবে চলবে সংসার, জানা নেই পরিবহণ শ্রমিকদেরও ৷ সমস্য়া সমাধানে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানাচ্ছেন হুগলির পরিবহণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ৷

2 নম্বর রুটের বাস মালিক দেবব্রত ভৌমিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সরকার বাস চালু করা নিয়ে কিছুই বলছে না ৷ এদিকে অটো, টোটো ইচ্ছা মতো চলছে । অটো, টোটো চলুক ৷ আমাদের তাতে সমস্য়া নেই ৷ কিন্তু সরকার আমাদেরও দেখুক ৷’’ একই সুর শোনা গিয়েছে বাসচালক শেখ বিকাশের গলাতেও ৷

বিপাকে পরিবহণ শ্রমিক ও গাড়ির মালিকরা

ভাল নেই টোটো ও অটোচালকরাও ৷ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রাস্তায় বেরোচ্ছেন তাঁরা ৷ কিন্তু তাতে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচটুকুও উঠছে না ৷ স্থানীয় অটোচালক শেখ সহমদ আলি জানালেন, পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে অটো বের করতে হচ্ছে ৷ কারণ, লকডাউন পরিস্থিতিতে গাড়ি বের করার নিয়ম নেই ৷ কিন্তু দিনের পর দিন গাড়ি বসিয়ে রাখলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে ৷ তাই বাধ্য হয়েই বেরোতে হচ্ছে ৷ তবে যাত্রী তেমন জুটছে না ৷

হতাশার সুর টোটোচালক বাবুল নন্দীর গলাতেও ৷ তিনি জানান, দোকান-বাজার যে সময়ে খোলা থাকছে, তখনই বেরোচ্ছেন টোটো নিয়ে ৷ তাছাড়া, কিছু মানুষ ব্যাঙ্ক, হাসপাতালে যাচ্ছেন ৷ তাঁরাও টোটো ভাড়া করছেন ৷ কিন্তু এটুকুতে উপার্জন প্রায় কিছুই হচ্ছে না ৷

আরও পড়ুন : বাসের গায়ে পোস্টার লিখে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ মালিকদের

এই অবস্থায় সকলেই চাইছেন, দ্রুত স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি ৷ স্বাভাবিক হোক যান চলাচল ৷ তা না হলে পরিবার নিয়ে হয়তো পথে বসতে হবে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোকে ৷ একইসঙ্গে সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সম্ভব হলে বাড়তি কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিক সরকার ৷

হুগলি, 9 জুন : করোনার প্রকোপ রুখতে রাজ্য়জুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করেছে সরকার ৷ যার জেরে বন্ধ বাস, অটো ও টোটো পরিষেবা ৷ ফলে বন্ধ গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের রোজগারও ৷ হুগলি জেলায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা 500-রও বেশি ৷ আর টোটো-অটো রয়েছে অন্তত কয়েক হাজার ৷ বিধিনিষেধের জেরে আজ সেসবই ‘অচল’ ৷ কর্মহীন হয়ে ঘোর আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটছে পরিবহণ শ্রমিকদের ৷ বিপাকে পড়েছেন গাড়ির মালিকরাও ৷ গাড়ি কেনার ঋণ শোধ করাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের পক্ষে ৷

গত বছর করোনার কারণে ঘরবন্দি হয়ে যায় গোটা দেশ ৷ মাসের পর মাস চলতে থাকে অচলাবস্থা ৷ তার জেরে প্রায় সাত মাস রুজিরুটি বন্ধ থাকে পরিবহণ ব্য়বসায়ী ও পরিবহণ শ্রমিকদের ৷ পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ফের সংক্রমণের হার বাড়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় এক মাস বসে ধরে বসে রয়েছে গাড়ি ৷ এতে রোজগার যেমন বন্ধ হয়েছে, তেমনই দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার জেরে গাড়ির কল-কবজা বিগড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ৷

গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি ৷ এই অবস্থায় কীভাবে গাড়ি চালাবেন, ভেবে পাচ্ছেন না মালিকরা ৷ কীভাবে চলবে সংসার, জানা নেই পরিবহণ শ্রমিকদেরও ৷ সমস্য়া সমাধানে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানাচ্ছেন হুগলির পরিবহণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ৷

2 নম্বর রুটের বাস মালিক দেবব্রত ভৌমিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সরকার বাস চালু করা নিয়ে কিছুই বলছে না ৷ এদিকে অটো, টোটো ইচ্ছা মতো চলছে । অটো, টোটো চলুক ৷ আমাদের তাতে সমস্য়া নেই ৷ কিন্তু সরকার আমাদেরও দেখুক ৷’’ একই সুর শোনা গিয়েছে বাসচালক শেখ বিকাশের গলাতেও ৷

বিপাকে পরিবহণ শ্রমিক ও গাড়ির মালিকরা

ভাল নেই টোটো ও অটোচালকরাও ৷ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রাস্তায় বেরোচ্ছেন তাঁরা ৷ কিন্তু তাতে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচটুকুও উঠছে না ৷ স্থানীয় অটোচালক শেখ সহমদ আলি জানালেন, পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে অটো বের করতে হচ্ছে ৷ কারণ, লকডাউন পরিস্থিতিতে গাড়ি বের করার নিয়ম নেই ৷ কিন্তু দিনের পর দিন গাড়ি বসিয়ে রাখলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে ৷ তাই বাধ্য হয়েই বেরোতে হচ্ছে ৷ তবে যাত্রী তেমন জুটছে না ৷

হতাশার সুর টোটোচালক বাবুল নন্দীর গলাতেও ৷ তিনি জানান, দোকান-বাজার যে সময়ে খোলা থাকছে, তখনই বেরোচ্ছেন টোটো নিয়ে ৷ তাছাড়া, কিছু মানুষ ব্যাঙ্ক, হাসপাতালে যাচ্ছেন ৷ তাঁরাও টোটো ভাড়া করছেন ৷ কিন্তু এটুকুতে উপার্জন প্রায় কিছুই হচ্ছে না ৷

আরও পড়ুন : বাসের গায়ে পোস্টার লিখে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ মালিকদের

এই অবস্থায় সকলেই চাইছেন, দ্রুত স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি ৷ স্বাভাবিক হোক যান চলাচল ৷ তা না হলে পরিবার নিয়ে হয়তো পথে বসতে হবে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোকে ৷ একইসঙ্গে সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সম্ভব হলে বাড়তি কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিক সরকার ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.