হুগলি, 18 নভেম্বর : আইএসএফের (ISF) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকীর (Abbas Siddiqui) সমালোচনায় সরব হলেন তাঁরই কাকা পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী (Tawha Siddiqui) ৷ ভাইপোকে ‘কমরেড’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘‘কমরেড আব্বাস সিদ্দিকীর কোনও দাম নেই আমাদের কাছে ৷ ওটা আমাদের বংশের কলঙ্ক ৷ ওকে যেভাবে গালিগালাজ করা হচ্ছে, আমি হলে দেশ ছেড়ে পালাতাম ৷ আমি যদি ওই ধরনের ছেলে হতাম, তাহলে মায়ের পেটে মরে যাওয়াই ভাল ছিল ৷ ফুরফুরা শরিফের একটা সম্মান আছে, ঐতিহ্য আছে ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষের ফুরফুরা শরিফের উপর আস্থা রয়েছে ৷ আব্বাস সিদ্দিকী সেই আস্থার অপব্যাবহার করেছে ৷’’
আরও পড়ুন : Abbas Siddiqui : আমাকে প্রাণে মারতে চায় তৃণমূল, বিস্ফোরক আব্বাস সিদ্দিকি
প্রসঙ্গত, ত্বহা বনাম আব্বাসের কোন্দল নতুন কিছু নয় ৷ ফুরফুরা শরিফের ক্ষমতা নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ দীর্ঘদিনের ৷ এদিকে, রাজনীতির মঞ্চেও দু’জনকে নানা অবতারে দেখা গিয়েছে ৷ ত্বহা সিদ্দিকী একটা সময় মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেন শোনা যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল ৷ অন্যদিকে, একুশের নির্বাচনে আব্বাস বাম-কংগ্রেসের হাত ধরে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন ৷ তাতে অবশ্য লাভ কিছুই হয়নি ৷ কিন্তু, রাজ্যের যেসব এলাকায় আইএসএফের প্রভাব রয়েছে, সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংঘাত এখনও চলছে ৷
আরও পড়ুন : আইএসএফের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, দাবি অধীরের
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মুসলিম ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর ৷ সেখানে ফুরফুরা শরিফের একটা ভূমিকা অবশ্যই আছে ৷ সেক্ষেত্রে, ত্বহা এবং আব্বাস, দু’জনেই নিজেকে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে চাইছেন ৷ আব্বাসের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ত্বহা বলেন, ‘‘আব্বাস মুখে বলে রাজনীতি করি না ৷ অথচ ধর্মীয় সভায় গিয়েও রাজনীতির কথা বলছে ৷’’ পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘মমতা এখন পর্যন্ত রাজ্যের এক নম্বর মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে তিনি যদি কখনও আইএসএফের সঙ্গে যান, তাহলে ‘লোয়েস্ট’ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন ৷’’