হুগলি, 10 মার্চ: বলাগড়ে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের পর গ্রেফতার (Santanu Banerjee Arrested) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু, দল করতেন তৃণমূল ৷ পরবর্তীকালে তৃণমূলের যুব পদে দায়িত্ব পান। বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় সোমরা বাজারে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর শান্তনু সেই চাকরি পান। তার আগে জিরাটে শান্তনুর একটা মোবাইলের দোকান ছিল। হুগলি জেলার যুবনেতা পদ পাওয়ার পর কুন্তলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় শান্তনুর ৷
হুগলি জেলাজুড়ে শান্তনুর প্রভাব ধীরে ধীরে প্রতিপত্তি বাড়ে। আরামবাগেও ভালোরকম প্রভাব তৈরি করেন। 2016 সালে চন্দননগর বিধানসভায় থেকে ইন্দ্রনীল সেনকে জেতানোর জন্য দলের তরফে দায়িত্ব পান। পরবর্তী কালে 2018 সালে জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষর দায়িত্ব পান। হুগলি জেলার তৃণমূলের যুবসভাপতি পদ চলে যাওয়ার পর রাজ্য যুব সহসভাপতি হয়েছিলেন। এরপর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। বর্তমানে অবশ্য দলের কোনও পদে নেই শান্তনু। দলের অন্দরে ও বাইরে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শোনা যায়।
এছাড়াও চুঁচুড়া, চন্দননগর ও কলকাতায় একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে নামে-বেনামে। বেশ কয়েক বিঘা জমির ও কয়েকটা গাড়ির মালিক তিনি। বলাগড়ে তাঁর বিরুদ্ধে সামনে দলের নেতারা মুখ না-খুললেও অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 20 জানুয়ারি শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে রাত পর্যন্ত ইডি তল্লাশি চালায় ৷ শান্তনুর বাড়ি থেকেই 300 প্রার্থীর তালিকা পেয়েছিলেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, 2014 সালে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু ও কুন্তল। আজ প্রায় সাত ঘণ্টা জেরার পর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার ইডির
বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, "আইন আইনের পথে চলবে। বলাগড়ে জনগণের আমি প্রতিনিধি। জনগণের সুখ-দুঃখের লড়াই লড়ব তাদের লড়াই লড়ব। আমি বলাগড়ে এসেছি নির্বাচনী লড়াই লড়েছি। সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের সময় আমি শান্তনুকে পায়নি। ফলে তার কী হল আমার তাতে কী আসে-যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এসব লোকের জন্য কোনও প্রভাব পড়ে না। মুখ্যমন্ত্রীর জনহিতকর প্রকল্প তার ভিত্তিতে ভোট হবে। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন, "আমাদের দল পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হবে দল তার দায় নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে। এই নিয়ে আমাদের দুঃখ, আনন্দ কিছুই নেই। তবে হ্যাঁ একজন সহকর্মী ছিলেন।