হুগলি, 18 এপ্রিল : লকডাউনের কারণে অনেক রোগীই সমস্যায় পড়ছেন । কারণ, বাজারে এখন মিলছে না পর্যাপ্ত ওষুধ । কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক নার্সিংহোম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে আবার রয়েছে পরিবহনের সমস্যা । এছাড়াও হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিতে জরুরি ভিত্তিতে কোরোনা সংক্রমিতদেরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । এই সমস্যার মধ্যেই গ্রামের নার্সিংহোমে প্রৌঢ়ের পেসমেকার বসানো হল । হুগলি বারুইপাড়ার বাসিন্দা রথীকান্ত চক্রবর্তী হৃদরোগী । হার্ট স্পেশালিস্ট শুভাশিস রায়চৌধুরি গতকাল রথীকান্তবাবুর অপারেশন করেন ।
কমপ্লিট হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়ায় কয়েক মাস আগে টেম্পোরারি পেসমেকার বসানো হয়েছিল রথীকান্তবাবুর শরীরে । পার্মানেন্ট পেসমেকার বসাতে হবে এমন সময়ই লকডাউন ঘোষণা হয়ে যায় । লকডাউনের ফলে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু যাওয়ার উপায়ও নেই । কলকাতায় বেশির ভাগ হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে । কোরোনা আক্রান্ত ছাড়া অন্য রোগীরা যাবেন কোথায়? এই ভাবনাই পেয়ে বসে প্রৌঢ়ের পরিবারের সদস্যদের । এরপর চণ্ডীতলার একটি নার্সিংহোমের কথা জানতে পারেন রথীকান্তবাবুর ছেলে বৈকুন্ঠ । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি । জানান, শিগগিরই তাঁর বাবার শরীরে পেসমেকার বসাতে হবে । কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন । জানানো হয় কলকাতা থেকে ডাক্তার এসে পেসমেকার বসাবেন । চিন্তার কোনও কারণ নেই । হার্ট স্পেশালিস্ট শুভাশিস রায়চৌধুরি গতকাল রথীকান্তবাবুর শরীরে পেসমেকার বসান ।
অপারেশানের পর সুস্থ আছেন রথীকান্তবাবু । চিকিৎসক শুভাশিস রায়চৌধুরি বলেন, "লকডাউনের কারণে অনেক রোগীর অসুবিধা হচ্ছে । পরিবহনের সমস্যা, ভরতির সমস্যা । তবে শহর থেকে দূরে চণ্ডীতলার মতো গ্রামাঞ্চলে অল্প পরিকাঠামোয় এই ধরনের বড় অপারেশন করা যাচ্ছে এটা বড় ব্যাপার । রথীকান্তবাবুর ডায়াবেটিস আছে, প্রেসার আছে । হার্টের অসুখ রয়েছে । এমন রোগীদের কোরোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে হবে । দুই, তিনদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন তিনি ।"