খানাকুল, 13 নভেম্বর : সতীর ডান স্কন্ধ বা কাঁধ পতিত হয়েছে রত্নাকর নদীর পাশে । আর থেকেই রত্নাবলি নদী তীরে প্রতিষ্ঠিত হয় মা রত্নাবলির মন্দির । সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম পীঠ হল খানাকুলের এই স্থান । এই মন্দিরের প্রতিমার অস্তিত্ব নিয়ে রয়েছে মিথ ।
প্রায় 700 বছর আগে বর্ধমানের জমিদার পুত্র স্বরূপ নারায়ণ ব্রহ্মচারী পদযাত্রা করে খানাকুলের হবিদপুরে সাধনা করতে যান । রত্নাকর নদীর ধারে শিবের সাধনায় রত থাকাকালীন একটি স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান । তার অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে, সতী মায়ের ডান কাঁধ পতিত হয়েছে ।
কথিত আছে, শিব নিজে এই নদীর নাম দিয়েছিলেন রত্নাকর নদী । তাই শিব এবং মা রত্নাবলীর মূর্তি পাশাপাশি পূজিত হয় । পুজোর নির্ঘণ্ট ও রীতিনীতি : নিত্য পুজো ছাড়াও বছরে দুবার কার্তিক এবং মাঘ মাসে বিশেষভাবে পুজো অনুষ্ঠিত হয় । এখনও চালু রয়েছে পশু বলি প্রথা ।
এই দেবীর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রান্তে । রত্নাবলি মন্দিরে সারাবছরই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে । এমন কী শোনা যায়, মায়ের মন্দিরে মানত করে বহু কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেকে । তবে এবছর কোরোনা পরিস্থিতিতে ভক্তদের ভিড় সেরকম থাকবে না বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ । তবে নিয়ম রীতি মেনেই হবে মায়ের পুজো, হবে বলিও ।