চন্দননগর, 16 অক্টোবর : দশমীতে মা দুর্গার নিরঞ্জনে বিষাদের সুর বাজে । তবে সেই সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় জগদ্ধাত্রীর আহ্বান ৷ দুর্গাপুজোর দশমীর দিনই হয় জগদ্ধাত্রীর কাঠামো পুজো ৷ জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত চন্দননগরের নিয়ম এটাই ৷
দশমীর দিনে জগদ্ধাত্রী কাঠামো পুজো করা হয় ৷ তারপরই খড় বেঁধে মাটি দিয়ে শুরু হয় মূর্তি তৈরি ৷ চন্দননগরে সেই রীতি মেনেই জগদ্ধাত্রীর আহ্বান করা হল দশমীর দিন ৷ অন্যান্য বারোয়ারি মতোই চন্দননগরের বড়বাজার সর্বজনীনও কাঠামো পুজো করে । বিজয়ার দিন মা দুর্গাকে বরণ করে বিদায় জানান পাড়ার মহিলারা । সঙ্গে চলে সিন্দুর খেলা । মা দুর্গার নিরঞ্জন সবসময়ই বিষাদের ৷ তবে এখানে সেই বিষাদ কিছুটা লাঘব হয়ে যায় জগদ্ধাত্রীর আগমনের প্রস্তুতিতে ৷
বড়বাজার জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য অজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দশমীর দিন এই কাঠামো পুজো বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে । আমাদের বিজয়ার বিষাদের মধ্যেও আনন্দ আসে জগদ্ধাত্রীর পুজোর সূচনা দিয়ে । এবছর আমাদের পুজোর 59 বছর । করোনা বিধি মেনে থিম পুজো করব আমরা । একটাই প্রার্থনা, সব কিছু ঠিক হয়ে যাক । ছন্দে ফিরুক চন্দননগরের পুজো প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ।"
চন্দননগরের ফটক গোড়ার দুর্গাপুজোতেও দশমীতে সিঁদুর খেলতে ও বরণ করতে আসেন স্থানীয় মহিলারা ৷ সোনালী রায় বলেন, "দুর্গাপূজার পর জগদ্ধাত্রী মা আসা মানে জমজমাট চন্দননগর । গতবার করোনার সময় ঘটপুজো হয়েছে ৷ অনেক কিছুই আমরা মিস করেছি । কিন্তু কিছু করার নেই । এবছর আশা করব, করোনার মধ্যে সবাই সচেতন থাকবে, যাতে প্যানডেমিকের মধ্যেও মেতে উঠতে পারে চন্দননগর ।"
আরও পড়ুন : Bijaya Dashami : করোনা মুক্তির প্রার্থনায় পিপিই কিট পরে সম্প্রীতির সিঁদুরখেলা দক্ষিণ দমদমে