চন্দননগর, 11 জুন : বাড়ি ফিরলেন চন্দননগরের পিয়ালী বসাক (Piyali returned home in chandannagar)। স্বপ্ন ছিল অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়ের। কিন্তু 8 হাজার 490 মিটারে ওঠার পর তুষার ঝড়ের কারণে সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেন নিতে বাধ্য হয়েছেন বাঙালি এই পর্বতারোহী। এর দু'দিনের পরই অক্সিজেন নিয়ে লোৎসে জয় করেছেন তিনি। সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেই আগামিদিনে বিনা অক্সিজেনে অন্নপূর্ণা-সহ আরও বেশকিছু শৃঙ্গ জয় করার স্বপ্ন দেখছেন পিয়ালী।
ছোট থেকেই পাহাড়ের নেশায় ইতিমধ্যেই জয় করেছেন বেশ কিছু শৃঙ্গ। 2021-এ বিনা অক্সিজেনের ধৌওলাগিরি পর্বতারোহণ করেছেন তিনি। মাথায় ঋণের বোঝা নিয়েও এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন পিয়ালী। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে টাকার অনেকাংশ উঠলেও প্রায় 8 লক্ষ টাকার উপর এখনও ঋণ বাকি রয়েছে বাঙালি পর্বতারোহীর।
আরও পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সুন্দরবন এলাকার 13 জন পড়ুয়া
পিয়ালী ও তাঁর পরিবারের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার কাছে একটাই আবেদন, আর্থিকভাবে যেন তাঁকে সাহায্য করা হয় । আগামিদিনে তাঁর এই সাফল্য গোটা দেশের গর্ব হতে পারবে। চন্দননগর কাঁটাপুকুরেরর বাসিন্দা পিয়ালী বসাকের বাবার হাত ধরে প্রথম পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া। সেখান থেকেই পাহাড়ে চড়ার নেশার তাগিদ জাগে তাঁর।
পরে চন্দননগরবাসী বিভিন্ন পর্বতারোহণ সংস্থার সাহায্যে বিভিন্ন পর্বতারোহণ করেন তিনি। পর্বতারোহণের জন্য তিনি পাশে পান অপূর্ব চক্রবর্তী-সহ বেশকিছু শুভানুধ্যায়ী মানুষজনকে। আর্থিক দিক থেকেও তাঁকে সাহায্য করেন তাঁরা ৷ এর আগেও এভারেস্ট জয়ের জন্য গেলেও মাঝপথে ফিরে আসতে হয় এই বঙ্গ তনয়াকে। পরে বিনা অক্সিজেনে ধৌওলাগিরি জয় করেছেন। 8 হাজার মিটার উচ্চতার উপরেও অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকার কারণেই এতো আত্মবিশ্বাস তাঁর । সেই কারণে তিনি এভাবেই একের পর এক শৃঙ্গ জয় করার আশায় স্বপ্ন দেখছেন। তবে তাঁর এই কৃতিত্বের গর্বিত তাঁর পরিবার ও চন্দননগরবাসী।
আরও পড়ুন : বাবা দিনমজুর, উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের বর্ষা
নেপাল থেকে শনিবার সকালে বাড়ি ফিরলেন বঙ্গ তনয়া পিয়ালী। চন্দননগর পালপাড়া থেকে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত হুড খোলা গাড়ি করে তাঁকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়। ফুলমালা দিয়ে সম্বর্ধনা দেন চন্দননগর পৌরনিগমের 2 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহিত নন্দী-সহ বিশিষ্টজনরা। শঙ্খ বাজিয়ে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালীকে। আর এতেই অভিভূত পিয়ালির মা, স্বপ্না বসাক-সহ গোটা পরিবার ৷ তাঁর এই সফলতা ভলিষ্যতে যেন আরও পান, সেই আশায় করছেন তাঁরা।