ফুরফুরা, 22 অগস্ট: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গত 10 অগস্ট ফুরফুরায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল ৷ পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়েছিল আইএসএফ সমর্থকদের ৷ অভিযোগ, এর তদন্তে নেমে পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরপাকড় করছে ৷ সোমবারও একজনকে ধরা হয়েছে ৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ।
মঙ্গলবার পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, "ফুরফুরা শরিফের মতো ধর্মীয় জায়গায় রাজনীতি করবে না তৃণমূল । এটা দলের সিদ্ধান্ত । আমরা চাইব অন্য রাজনৈতিক দলও ফুরফুরা দরবার শরিফ এলাকায় যেন রাজনীতি না-করে । ফুরফুরার গন্ডগোলে যারা অভিযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ । আমি শুনেছি অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী রয়েছে । রাজনীতি না-করে ফুরফুরার উন্নয়নের জন্য সবাই ভাবুক ৷ আমরা এটাই চাই।" ধর্মীয়স্থানকে রাজনীতির বাইরে রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি ৷
ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার রাতে ফের নাজমুল শাহাদাত মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । শাহাদাত মোল্লা দক্ষিণ 24 পরগনার জীবনতলা থানা এলাকার বাসিন্দা । ফুরফুরার একটি দোকানে কাজ করত সে । পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । এরপরই উত্তেজনা আরও বাড়ে । এই ঘটনায় পুলিশকে আক্রমণ করেছেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী ও নাজমুল শাহাদাত সিদ্দিকী । তাঁদের দাবি, দরবারে এসে পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে । এর বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে । তাদের আরও অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দরবারে চড়াও হয় পুলিশ । তাদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নামে ফুরফুরায় পুলিশ আক্রমণ করেছে । পুলিশই ইঁট পাটকেল ও বোমা ছুড়েছিল । তাতে কয়েকজন আহত হয়েছিলেন । এমনকি তদন্তে নেমে যেভাবে পুলিশ গ্রেফতারি শুরু করেছে তারও বিরোধিতা করেছেন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী ও নাজমুল শাহাদাত সিদ্দিকী ৷ দেশের রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে তাঁরা এর সুরাহা করার আবেদন জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি, তৃণমূলকে তোপ নয়া সভাপতির
ফুরফুরার ঘটনায় পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক লোক আহত হয়েছিলেন । এরপরই শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড় । বেশ কিছু আইএসএফ কর্মী ও ভিন জেলার কিছু দুষ্কৃতী-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ফুরফুরার দরবার থেকে নাজমুস সাহাদাত মোল্লা নামে যুবককেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর ৷