শ্রীরামপুর,24 ডিসেম্বর: 'রাইট অফ এক্সপ্রেশন আমার সাংবিধানিক অধিকার, বেশ করেছি নকল করেছি', স্পষ্টভাবে জানালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । সংসদ চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের নকল করে ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়া তোলপাড় করে ফেলেছেন তৃণমূল সাংসদ । বিরোধীদের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন । যদিও এতে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন শ্রীরামপুরের সাংসদ। বরং তাঁর পালটা ঘোষণা, জগদীপ ধনখড় কেন, এলইডি স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের মিমিক্রি তিনি প্রদর্শন করবেন। শ্রীরামপুরের একটি সভায় ঠিক এভাবেই প্রকাশ্য-ঘোষণা কল্যাণের ।
উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের মিমিক্রি নিয়ে বিজেপি বাংলা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে নেমেছে। শ্রীরামপুরের বটতলায় শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সভা করেন। যেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক আক্রমণ করেন তিনি। তারই পালটা তৃণমূলের তরফে সেখানেই রবিবার সভা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই কল্যাণের ঘোষণা, তাঁর মিমিক্রি ধনকড়েই থেমে থাকবে না। গড়াবে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত ।
উপরাষ্ট্রপতি ছাড়াও লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গভঙ্গি এদিনের সভায় তুলে ধরেন কল্যাণ। জগদীপ ধনকড়ের নাম না করে ফের তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ ও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। রবিবার তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্য সভার টিভি দেখার সময় নেই আমার। তাও আমি একটা মিমিক্রি করেছি। পরবর্তীকালে শুনছি সেটা বিশাল ব্যাপার হয়ে গেছে। এটা প্রথম নয় তো। মিমিক্রি লোকসভার বাইরে অনেক দেখেছি। লোকসভার মধ্যে প্রথম মিমিক্রি দেখেছি নরেন্দ্র মোদির।" সেই মিমিক্রিও করে দেখান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীর করা মিমিক্রির কেন প্রতিবাদ হলো না । প্রশ্ন কল্যাণের। বিষয়টিকে খেলার ছলে কেন নেওয়া হচ্ছে না। সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি । তারপরই ভরা সভায় ঘোষণা করে জানান, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর মিমিক্রি বিভিন্ন জায়গায় এলইডির মাধ্যমে শ্রীরামপুরের মানুষকে দেখাবেন।
মিমিক্রিকে শিল্প হিসেবে দেখা উচিত বলেই মনে করেন সাংসদ কল্যাণ। পরোক্ষভাবে বিরোধীদের সেই শিল্প-সংস্কৃতির বোধ নেই বলেই জানান তিনি । পাশাপাশি 1942 সালের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা তুলে ধরে কল্যাণ জানান, 42 এর বদলে 24। 2024 সালে সংগ্রামী মানুষদের জন্য লড়বে তৃণমূল ৷
আরও পড়ুন: