ETV Bharat / state

Youth in Chain: শিকলে বাঁধা ছেলে, চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি অসহায় মায়ের - chained son in baidyabati

শিকল বাঁধা রয়েছে বছর 29 এর যুবক কার্তিক দে(Youth in Chain)৷ দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ৷ পরিবার বলতে শুধু মা ৷ পেটের তাগিদে তাঁকেও বাড়ি বাড়ি কাজ করতে হয় ৷ মন না চাইলেও অগত্যা ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখা ছাড়া যে উপায় নেই ৷ তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি তাঁর ৷

ETV Bharat
বৈদ্যবাটিতে শিকলে বাঁধা যুবকের কাহিনি
author img

By

Published : Nov 8, 2022, 10:04 PM IST

বৈদ্যবাটি, 8 নভেম্বর: বাড়ির গেটের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছেন 29 বছরের যুবক কার্তিক ৷ মা নিজের হাতে ছেলের পায়ে শিকল পরিয়ে দিচ্ছেন(Mother Seeks Help to Get Treatment for Chained Son)৷ কষ্ট হলেও উপায় নেই যে ৷ অমানবিক এই দৃশ্য চোখে পড়বে হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভার 14 নং ওয়ার্ডের খরপাড়া লেনে(News of Baidyabati Hooghly)৷

আগে বেশ ভালোই চলছিল ৷ করোনার আগে কার্তিক টোটো চালাতেন আর বাড়ি বাড়ি কাজ করে রোজগার করতেন সুলতা দেবী ৷ মা-ছেলে দু'জনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল ৷ কিন্তু করোনার সময় টোটো ভাড়া বন্ধ হয়ে যায় ৷ তারপর থেকেই টান পড়তে শুরু করে সংসারে ৷ এরপর হঠাৎ করেই ভারসাম্যহীনের মতো বাড়ির জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া, অকারণে চিৎকার করা এইসব করতে শুরু করেন কার্তিক ৷ দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না-পেয়ে অবশেষে থানায় ডায়েরি করেন সুলতা দেবী ৷ এই ঘটনার দিন কুড়ি পর হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসেন কার্তিক ৷ সুলতা দেবী লক্ষ্য করেন আগের থেকেও বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাঁর ছেলে ৷ ঘরে বন্ধ করে রাখলে চিৎকার করে, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে ৷ পাড়া-প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ছেলেকে শিকলে বাঁধতে শুরু করেন মা ৷ দু'টি বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার আগে ছেলে বেঁধে রেখে যান তিনি ৷

বৈদ্যবাটিতে শিকলে বাঁধা যুবকের কাহিনি

টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি ৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে এখন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের জন্য তাঁর নিজের কাজটুকুও যেতে বসেছে ৷ অসহায় মা কান্না মিশ্রিত গলায় ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইছেন ৷

তাঁর কথায়," মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়েও ফিরে এসেছি টাকার অভাবে ৷ স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ ছেলের মুখে একটাও ওষুধ তুলে দিতে পারিনি ৷ আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে চাই ৷ যদি কেউ এগিয়ে আসেন তাহলে খুব ভালো হয় ৷ ছেলের সঙ্গে সঙ্গে আমিও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি ৷"

এই বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, "এটা খুবই অমানবিক ঘটনা । বিষয়টা জানা ছিল না । যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কিছু একটা ব্যবস্থা করব ।"

আরও পড়ুন : অতিমারিতে কাজ হারিয়ে শিকল বন্দি ভারসাম্যহীন 'রবীন্দ্রনাথ'

বৈদ্যবাটি, 8 নভেম্বর: বাড়ির গেটের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছেন 29 বছরের যুবক কার্তিক ৷ মা নিজের হাতে ছেলের পায়ে শিকল পরিয়ে দিচ্ছেন(Mother Seeks Help to Get Treatment for Chained Son)৷ কষ্ট হলেও উপায় নেই যে ৷ অমানবিক এই দৃশ্য চোখে পড়বে হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভার 14 নং ওয়ার্ডের খরপাড়া লেনে(News of Baidyabati Hooghly)৷

আগে বেশ ভালোই চলছিল ৷ করোনার আগে কার্তিক টোটো চালাতেন আর বাড়ি বাড়ি কাজ করে রোজগার করতেন সুলতা দেবী ৷ মা-ছেলে দু'জনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল ৷ কিন্তু করোনার সময় টোটো ভাড়া বন্ধ হয়ে যায় ৷ তারপর থেকেই টান পড়তে শুরু করে সংসারে ৷ এরপর হঠাৎ করেই ভারসাম্যহীনের মতো বাড়ির জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া, অকারণে চিৎকার করা এইসব করতে শুরু করেন কার্তিক ৷ দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলেকে না-পেয়ে অবশেষে থানায় ডায়েরি করেন সুলতা দেবী ৷ এই ঘটনার দিন কুড়ি পর হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসেন কার্তিক ৷ সুলতা দেবী লক্ষ্য করেন আগের থেকেও বেশি অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাঁর ছেলে ৷ ঘরে বন্ধ করে রাখলে চিৎকার করে, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে ৷ পাড়া-প্রতিবেশীরা অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ছেলেকে শিকলে বাঁধতে শুরু করেন মা ৷ দু'টি বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার আগে ছেলে বেঁধে রেখে যান তিনি ৷

বৈদ্যবাটিতে শিকলে বাঁধা যুবকের কাহিনি

টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি ৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে এখন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের জন্য তাঁর নিজের কাজটুকুও যেতে বসেছে ৷ অসহায় মা কান্না মিশ্রিত গলায় ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাইছেন ৷

তাঁর কথায়," মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে গিয়েও ফিরে এসেছি টাকার অভাবে ৷ স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ ছেলের মুখে একটাও ওষুধ তুলে দিতে পারিনি ৷ আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে চাই ৷ যদি কেউ এগিয়ে আসেন তাহলে খুব ভালো হয় ৷ ছেলের সঙ্গে সঙ্গে আমিও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি ৷"

এই বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁই বলেন, "এটা খুবই অমানবিক ঘটনা । বিষয়টা জানা ছিল না । যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কিছু একটা ব্যবস্থা করব ।"

আরও পড়ুন : অতিমারিতে কাজ হারিয়ে শিকল বন্দি ভারসাম্যহীন 'রবীন্দ্রনাথ'

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.