হুগলি, 23 জুন: ফের সামাজিক মাধ্যমে বিস্ফোরক বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তৃণমূল, তৃণমূলকেই হারাবে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট বিধায়কের। ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর ।
এর আগেও বিধায়ক সামাজিক মাধ্যমে বলাগড়ে টিকিট বিক্রি নিয়ে মুখর হয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, তাঁর মনোনীত প্রার্থী টিকিট পায়নি। সেই কারণে তিনি দলীয় দু'টি পদের দায়িত্ব থেকে সরে যান। তবে আবার সামাজিক মাধ্যমে নির্দল প্রার্থীর দেওয়াল লিখন পোস্ট করেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থীকে হারানোর চেষ্টার অভিযোগ আনেন।
তিনি সেই পোস্টে লেখেন, "ডুমুরদহ নিত্যানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কেন্দ্রের তৃণমূল দলেরই প্রতীক প্রাপ্ত একজন প্রার্থী দীপক দাস নামে আছেন। তাঁর অপরাধ সে বিধানসভার ভোটে দলের হয়ে খেটেছিল। দলকে জিততে সাহায্য করেছিল। সেই অপরাধে দলের আর এক গ্যাং তাঁকে হারানোর জন্য আপ্রাণ প্রয়াস করছে। গোটা বলাগড় জুড়ে এই খেলা চলছে।"
তিনি একটি দেওয়াল লিখনের ছবি পোস্ট করেন । তাতে দেখা যায়, ডুমুর দহ নিত্যানন্দপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের 205 নম্বর বুথে সুখ দে-র নামে প্রচার করা হয়েছে । সেই পোস্ট শেয়ার করে সরাসরি নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন বিধায়ক। তিনি একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, যাঁরা বিধানসভা ভোটে তাঁর হয়ে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদেরকে টিকিট দিয়ে সম্মান দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই তাঁর মনোনীত 109 জনকে প্রার্থী হিসাবে টিকিট দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি। সেই নিয়ে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এর আগেও তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বলাগড়ের ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "বলাগড়ে যা পরিস্থিতি তৃণমূল, তৃণমূলকেই হারাবে।"
আরও পড়ুন: ভোটের ময়দানে 'গৃহযুদ্ধ' ! বৌমা রামে শাশুড়ি বামে
এবিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "দলীয় প্রতীক তিনিও জমা দিয়েছিলেন। আমিও দিয়েছি। নিয়ম আছে দু'জনে যদি দলীয় প্রতীক পায় সেক্ষেত্রে যাঁরা আগে মনোনয়ন করেছিলেন তাঁরাই দলীয় প্রতীকে লড়বেন। উনি কী করে নির্দলকে সমর্থন করছেন বলতে পারব না। টিকিট বিক্রির বিষয়ে তদন্ত হোক। তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।আমি জেলা সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিধায়ক সাহেব কী বলছেন সেটা আমরা বিষয় নয়।"