চন্দননগর, 13 মে : ভদ্রেশ্বরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে মদত দিচ্ছে প্রসাশন, এমনই মন্তব্য করলেন BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । অবিলম্বে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর ও ভদ্রেশ্বর IC নন্দন পাণিগ্রাহীর অপসারণের দাবিও করেন তিনি ।
আজ ভদ্রেশ্বরে পরিদর্শনে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গোষ্ঠী সংঘর্ষের ব্যাপারে প্রশাসনের ইন্ধন ওপরতলার মদেতই হচ্ছে । গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এখনও সংঘর্ষ অব্যাহত । সেই জন্যই আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম । পুলিশ-প্রশাসনের বড় কর্তারা যদি কিছু না করতে পারেন তাহলে তাঁরা পদত্যাগ করুন । চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে অবশ্যই বদলি করা হোক । ভদ্রেশ্বর থানার যে IC-কে অপসারণ করা হোক ।"
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই লাগাম ছাড়া গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়িয়েছে ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরে । ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । রবিবার কোরোনা মোকাবিলায় ব্যারিকেট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত । ঘটনাস্থানে যায় চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী । এই ঘটনার পরেই আজ এলাকা পরিদর্শনে আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে BJP সাংসদ বললেন, "পুলিশের আধিকারিকরা কোনও কম্মের নয় । উলটে তাঁরা আগুনে ঘি ঢালছেন । মানুষ যখন কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে লুটপাট, ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না ! সাংবাদিক বৈঠক করে বলছেন, শাস্তি হবে ৷ কিন্তু নিরপরাধ লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ।"
লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, "তৃণমূল কাউন্সিলর ফিরোজ খানকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি । আশেপাশের বিভিন্ন দুষ্কৃতিদের নিয়ে এসে বোমাবাজি করা হচ্ছে । তাঁদের কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি । এই পরিস্থিতিতেও জেলাশাসক আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না । এমনকি রাস্তায় যেতে গেলেও আটকানো হচ্ছে আমায় ।"
এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে লকেট বলেন, "উত্তেজনা বন্ধ করতে জন্য যদি ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয় সেটা খুবই ভালো কথা । কিন্তু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে চলেছে এখনও । ভদ্রেশ্বরের মতো ছোটো জায়গায় এই ধরনের সংঘর্ষ একদিনেই সামাল দেওয়া যেত । কিন্তু, সম্পূর্ণ প্রশাসনের মদতে এ'সব হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে CP-র অপসারণ করা ।"